বিরাট কোহলি নামটা শুনলেই একদিকে যেমন ভেসে ওঠে নান্দনিক ব্যাটিংয়ের দৃশ্য, অন্যদিকে মনে পড়ে প্রবল আক্রোশে প্রতিপক্ষের দিকে ছুটে যাওয়ার মুহূর্তগুলো। তিনি নিজেকে স্রেফ একজন ক্রিকেটার পরিচয়ে ধরে রাখেননি, মাঠে হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে প্রতিবাদী চরিত্র। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি, প্রতিপক্ষের কারো আচরণ দৃষ্টিকটু ছিল – ব্যাস, জবাব দেয়া শুরু হয়ে যেত তাঁরা।
তবে এই ব্যাটার এভাবে মজার এক মন্তব্য করে বসেছেন; সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘আমি কখনো কারো সাথে লড়াই করি না, মারামারি করার তো প্রশ্নই উঠে না। যে কেউ আমাকে মেরে আবার চলে যেতে পারে।’
তাঁর বলার দেরি, ভিডিও ক্লিপ নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি। এই ডানহাতি নিজেও জানতেন তাঁর মুখে এমন মন্তব্য কেমন আলোড়ন তৈরি করবে। তাই তো সাক্ষাৎকারের পরের অংশে ব্যাখ্যাও দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্য আমি মুখে অনেক কিছু বলি। কিন্তু কখনোই মারামারিতে জড়াই না।’
আসলেই যদি কোহলি এত ঠান্ডা মেজাজের হন তাহলে ক্রিকেট মাঠে কেন তাঁকে বারবার তেড়েফুঁড়ে যেতে দেখা যায় – এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মাঠের হিসেব অন্যরকম, আমি মাঠে আগ্রাসন দেখাই কারণ আমি জানি সেটা কখনোই মারামারি বা গুরুতর কিছুর দিকে যাবে না। কেননা সেখানে আম্পায়াররা মিটমাট করে দেন দ্রুত।’
এই ব্যাটারের সবশেষ দ্বন্দ হয়েছিল স্বয়ং গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে। ২০২৩ সালে গম্ভীর যখন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন তখন ম্যাচ শেষে দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছে। দুই দলের প্রায় সবাই চেষ্টা করেও সহসা নিবৃত্ত করতে পারেনি তাঁদের।
এখন অবশ্য উভয়েই এসব ভুলে গিয়েছেন; গম্ভীর তো এখন ভারতীয় দলের কোচ। ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থদের সম্পর্ক এখন গুরু-শিষ্যের। তাই তো সব বিবাদ ভুলে তাঁরা এক হয়েছেন আকাশী-নীল জার্সিটার জন্য।