শচীন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকারকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়। যদিও বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে কিংবা ঘড়োয়া ক্রিকেটে এখনো মনে রাখার মত কিছুই করতে পারেননি অর্জুন। এবার শচীনের দীর্ঘদিনের ওপেনিং পার্টনার বীরেন্দর শেবাগের ছেলে আর্যবীর শেবাগ উঠে এলেন আলোচনায়।
আর্যবীরের বয়স মাত্র ১৫। কিন্তু এখন থেকেই সে নিজেকে আইপিএলে খেলার জন্য প্রস্তুত করে তুলছে বলে জানালেন তাঁর বাবা বীরেন্দ্র শেবাগ। এই মুহূর্তে আর্যবীর দিল্লীর অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে খেলছেন। যদিও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি আর্যবীরের।
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের একটি অনুষ্ঠানে শেবাগ জানান, আর্যবীর এখনই আইপিএলে খেলার জন্য কঠোর অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। মানে, পুত্রকে পুরোপুরি ক্রিকেট জীবনেই নিতে মরিয়া শেবাগ।
শুধু ভারতীয় ক্রিকেট নয়, পুরো বিশ্ব ক্রিকেটেই একটি নতুন যুগের সৃষ্টি হয়েছে। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে আইপিএল শুরু হবার পর সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন আইপিএল খেলার। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট প্রতি বছরই নতুন নতুন তারকাকে পরিচয় করিয়ে দেয় বিশ্ব মঞ্চে।
আইপিএলের আগে রঞ্জি ট্রফিই ছিল ভারতের জাতীয় দলে ঢোকার প্রবেশদ্বার। ভারতের সব তরুণেরই এখন লক্ষ্য আইপিএলে সুযোগ পাওয়া। শেবাগ বলেন, ‘দেশের তুলনামূলক ছোট রাজ্যের শিশুরাও আইপিএল খেলার জন্য অল্প বয়স থেকেই কঠোর অনুশীলন করে।’
বিশ্বজুড়েই আইপিএলে গ্রহণযোগ্যতা অস্বীকার করার উপায় নেই কারো। শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশ গুলোতেও আইপিএলের পারফরম্যান্স মানদন্ড হিসেবে ধরা হয়।
এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের উদাহরণ টেনে শেবাগ বলেন, ‘আমার মনে হয় আইপিএলের মান এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে সব দেশের খেলোয়াড়েরাই আইপিএলে খেলতে চায়। তাদের আইপিএল পারফরম্যান্স সেদেশেও বিবেচনা করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ওয়ার্নার আইপিএলে দারুণ খেলেছে তারপর সে অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পেল এবং সেখানেও ভালো খেলেছে।’