ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ও লোকেশ রাহুল

ব্যাট হাতে লোকেশ রাহুলের দু:সময় যেন শেষ হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিল্লী টেস্টেও ফিরতে হয়েছে মোটে ১৭ রানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ওপেনারকে নিয়ে সমালোচনা আগে থেকেই ছিল।

ব্যাট হাতে লোকেশ রাহুলের দু:সময় যেন শেষ হচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিল্লী টেস্টেও ফিরতে হয়েছে মোটে ১৭ রানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ওপেনারকে নিয়ে সমালোচনা আগে থেকেই ছিল। এবারে সাবেক ভারতীয় পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদও টুইটারে সমালোচনা করেছেন এই ওপেনারের। পাশাপাশি ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টেরও একহাত নিয়েছেন এই পেসার। 

শুভমান গিলের বদলে লোকেশ রাহুলকে খেলানোর আগে থেকেই সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট। গত কয়েক মাস ধরে অফফর্মে থাকলেও টিম ম্যানেজমেন্ট রাহুলকে টানা সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু রাহুল সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন কই!

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম ম্যাচে ফিরেছিলেন মাত্র ২০ রানেই। দ্বিতীয় টেস্টেও নাথান লিঁও’র বলে আউট হবার আগে করতে পেরেছেন মোটে ১৭ রান। এরপরের রাহুলের টেস্ট পরিসংখ্যানসহ টুইটারে টুইট করেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ।

তিনি লিখেন, ‘লোকেশ রাহুলের প্রতিভা এবং সামর্থ্যের ব্যাপারে আমি জানি। কিন্তু তাঁর পারফরম্যান্স কখনোই আন্তর্জাতিক মানের ছিল না। ৪৬ টেস্ট এবং আট বছর খেলার পর ৩৪ গড় খুবই সাধারণ এক ক্রিকেটারের কথাই বলে। আমার মনে পড়ে না সর্বশেষ কবে কোনো ক্রিকেটার এত সুযোগ পেয়েছে।’

এছাড়া রাহুলের এত সুযোগ পাওয়াকে বাকি ক্রিকেটারদের প্রতি অন্যায় হিসেবে অভিহিত করে টেনে আনেন শিবসুন্দর দাস এবং সদাগোপেন রমেশের তুলনাও।

প্রসাদ লিখেন, ‘রাহুলের এত সুযোগ পাওয়াটা রীতিমতো অন্যায়। শিবসুন্দর দাস এবং সদাগোপেন রমেশ দুজনেই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ছিল। ৩৮ টেস্ট গড় থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কিন্তু ২৩ ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ পাননি। রাহুলের নিয়মিত সুযোগ পাওয়া এটাই জানান দেয় যে ভারত থেকে পর্যাপ্ত ব্যাটসম্যান উঠে আসছে না। অথচ এটা সত্যি নয়। গত পাঁচ বছরে তাঁর পরিসংখ্যান আরো বাজে কিছুর ইঙ্গিত করে, এই সময়ে তাঁর গড় ২৭ এর কম।’ 

এছাড়া তিনি আরো লিখেন, ‘আমার মতে রাহুল ভারতের সেরা দশ ওপেনারের মাঝেও থাকবেন না। শিখর ধাওয়ানের টেস্ট গড় ৪০ এর বেশি, মায়াংক আগারওয়ালের টেস্টে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে। সরফরাজ খান তো ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। শুভমান গিল ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছে, যখনই সে সুযোগ পেয়েছে পারফর্ম করেছে। অথচ এতসব তরুণ প্রতিভাকে উপেক্ষা করে রাহুলকে ক্রমাগত সুযোগ দেয়া হচ্ছে।’ 

রিটুইটে লিখেন, ‘কুলদীপ যাদব ম্যান অব দ্য ম্যাচ হবার পরের ম্যাচেই বাদ পড়েছে কেবল টিম কম্বিনেশন আর প্রতিপক্ষ বিবেচনায়। অথচ রাহুল টানা খেলে যাচ্ছেন কোনো বিবেচনা ছাড়াই।’

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও সময়ের সাথে সাথে কমেছে রাহুলের ব্যাটের ধার। টেস্টে তাঁর সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ২৫ রান পেরোতে পেরেছেন মোটে একবার। তাঁর ইনিংসগুলো ছিল এমন – ৫০, ৮, ১২, ১০, ২২, ২৩, ১০, ২ , ২০ এবং ১৭। ভারতের মতো বিশ্বসেরা দলে এমন পারফরম্যান্সের পর টিকে থাকা সত্যিই বিস্ময়কর বটে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...