যে মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে, যেখানে আর যাই হোক আন্তুর্জাতিক ক্রিকেট হতেই পারে না। যদিও, প্রচলিত এই ধারাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেড়াচ্ছে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)।
আলোচিত সেই ভেন্যুটি হল ভারতের বৃহত্তর নয়ডায় অবস্থিত শহীদ বিজয় সিং পথিক স্পোর্টস কমপ্লক্সে। এই মাঠে প্রথম দু’দিনে কোনো বৃষ্টি না হলেও প্রায় দু’টি দিনই ভেস্তে যেতে চলেছে। আর সেই ভেস্তে যাওয়া আটকাতে অদ্ভুত কায়দায় মিড উইকেট অঞ্চলে মাটি খনন পর্যন্ত করা হয়। তবে, তাতে আদৌ কোনো লাভ হয়েছে কি না সেটা মাঠকর্মীরাই ভাল বলতে পারবেন!
এই ম্যাচ দিয়েই টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হওয়ার কথা ছিল নয়ডার। বিসিসিআইয়ের অনুমতি সাপেক্ষে এই স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে আফগানিস্তান। তবে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই টেস্ট ম্যাচ আদৌ আর মাঠে গড়াবে কি না – তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
প্রথম দিন তাও টেস্ট ম্যাচটি দেখতে হাজারখানেক দর্শক এসেছিল। তবে, দ্বিতীয় দিনে তাও আসেননি। বৃষ্টি না হওয়ার পরও আউটফিল্ড ও উইকেট এতটাই ভেজা ছিল যে সেটা শুকাতে স্ট্যান্ড ফ্যান আনা হয়। তাও কোনো লাভ হয়নি। দ্বিতীয় দিনের চা বিরতি পর্যন্তও খেলোয়াড়রা টিম হোটেলেই ছিলেন।
ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে একজন দর্শক লিখেছেন, ‘এই ম্যাচ বাতিল করে দেওয়াই শ্রেয়। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এই মাঠকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। ক্রিকেট ভক্তদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, আমেরিকায় বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজন করে যেমনটা করা হয়েছিল।’
ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি অবশ্য, এখনও এই ইস্যুতে নীরব। এই নীরবতা কি স্টেডিয়ামটা ভারতে বলেই? প্রশ্ন হল এমন স্টেডিয়ামে কি ভারত নিজেরা খেলতে চাইতো? যে স্টেডিয়ামে নিজেদের পক্ষেই খেলা সম্ভব নয়, সেই মাঠ কেন আরেকজনকে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে?