২০২২ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। এরপর থেকে দুজনেই ছিলেন দলের বাইরে – তবে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আফগানিস্তান সিরিজে ফিরেছেন তাঁরা। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৪ মাস পর সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে দেখা যাবে তাঁদের।
অবশ্য এই জুটিকে ফেরানো নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে; বিশেষ করে তরুণ যশস্বী জসওয়াল, রুতুরাজ গায়কোয়াড়, তিল ভার্মারা নিজেদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রমাণ করার পরও জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে এবং সেটা পছন্দ হয়নি অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের। তবে রোহিত-বিরাটের দলে থাকা স্রেফ আবেগীয় সিদ্ধান্ত নয়, এর পিছনে রয়েছে যথার্থ কারণ।
প্রথমত লম্বা সময় হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি দলকে, কিন্তু এখন তিনি ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে। টিম ইন্ডিয়ার তাই একজন ‘প্রোপার লিডার’ প্রয়োজন ছিল, এমন অবস্থায় রোহিত শর্মার চেয়ে ভাল অপশন আর কি হতে পারে? আবার তাঁকে দলে রেখে বিরাটকে বাদ দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই তো দুই ডানহাতিকেই পুনরায় বিবেচনা করেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
এছাড়া পারফরম্যান্সের হিসেবেও তাঁদের পিছিয়ে রাখা যায় না। যদিও শঙ্কার জায়গা ঠিকই আছে, গত কয়েকটি আইপিএলে বলার মত কিছু করতে পারেননি হিটম্যান। সর্বশেষ ২০১৫ সালে তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৪০ ছিল, গত দুই বছরে ব্যাটিং গড় নেমে এসেছে ২০ এর ঘরে! কোহলি অবশ্য বড় রান করেছেন, কিন্তু এই ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১১০ এর মত!
স্পিনারদের সামনে একেবারে দুর্বল তিনি – মিডল ওভারে মাত্র ১০৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। আর সব ধরনের বোলিংয়ে সংখ্যাটা ১১৬! অথচ ইনিংসের এই সয়মটাতে সুরিয়াকুমার এবং স্যামসন রান তুলেছেন যথাক্রমে ১৫০.৫৯ ও ১৫২.৮৭ রেটে। বিকল্প হিসেবে টপ অর্ডারে খেলানো যেতে পারে তাঁকে কিন্তু সেখানেও স্পিনের বিপক্ষে সন্তোষজনক নয় তাঁর অবস্থা।
দিনশেষে অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুই তারকা দিয়েছন নিজের সেরাটা, এবার পালা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল করার। তার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রমাণ করতে হবে নিজেদের সামর্থ্য, অন্তত নামের প্রতি সুবিচার করতে হবে তাঁদের – তা নাহলে হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ দেখা যাবে না রোহিত- বিরাট জুটিকে।