তখন পর্যন্ত ডেভিড ওয়ার্নারকেই শেষ ভরসা বলে মনে হচ্ছিলো।
৩০ বলে ৪৯ রান করে তিনি একাই যা পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন। ঠিক এই সময় ছন্দপতন। শাদাব খানের দারুন এক ডেলিভারিতে কাভার ড্রাইভ করার মত করে ব্যাট চালালেন। কিন্তু বল উইকেটরক্ষকের হাতে। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেন। একটুও না ভেবে উইকেট ছেড়ে চলে গেলেন ওয়ার্নার।
মনে হলো, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচের এখানেই শেষ।
কিন্তু ভিডিও রিপ্লে তো একেবারেই চমকে দিলো। দেখা গেলো ওয়ার্নারের ব্যাটে বল লাগেইনি। তাহলে? কেনো ওয়ার্নার দলকে এই ‘পরাজয়ের’ মুখে রেখে চলে গেলেন? কেনো তিনি রিভিউ নিলেন না!
এ নিয়ে নিশ্চয়ই আজ তোলপাড় হয়ে যেতো, যদি ওখান থেকে অস্ট্রেলিয়া না ম্যচটা জিততে পারতো। তবে অস্ট্রেলিয়া জয় পেলেও প্রশ্ন থামেনি। বারবারই এটা সামনে আসছে যে, ওয়ার্নার রিভিউ নিলেন না কেনো।
ওয়ার্নারের নিজের ভাষ্য এখনও জানা যায়নি। তবে ম্যাচের পর নায়ক ম্যাথু ওয়েড বলছিলেন, ওয়ার্নার নিজেও নিশ্চিত ছিলেন না। তবে ম্যাক্সওয়েল আসলে একটা শব্দ পেয়েছিলেন। যে কারণে তার মনে হয়েছিলো, তিনি আউট। আর এ জন্যই রিভিউ নেননি এই ওপেনার।
ওয়েড বলছিলেন, ‘একটা শব্দ হয়েছিল, সে (ওয়ার্নার) নিশ্চিত ছিল না। হতে পারে ব্যাটের হাতলে ঝাঁকি কিংবা তার ব্যাটে হাত লাগার শব্দ। সে যদিও মনে করছিল, তার ব্যাটে লাগেনি। তবে অপরপ্রান্তে, গ্লেন (ম্যাক্সওয়েল) কিছু একটা শুনতে পেরেছিল। আর সত্যি বলতে, ব্যাট ছাড়া বলের কাছাকাছি আর কিছু ছিল না। এটা ভেবে তখন হয়তো তার মনে হয়েছে, ব্যাটে বল লেগেছে।’
ব্যাপারটা নিয়ে আসলে ওই সময় ওয়ার্নার ভরসা করেছেন নন স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা ম্যাক্সওয়েলের ওপর। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল নিশ্চিতভাবেই ওয়ার্নারকে বলেছেন যে, ব্যাটে বল লেগেছে। ওয়েড জানান, ‘ওই পরিস্থিতিতে আসলে কাজটা কঠিন। কত সময়ই তো দেখতে পান, ব্যাটসম্যানরা বুঝে উঠতে পারে না ব্যাটে লেগেছে কী না। অপরপ্রান্ত থেকে একটু হলেও নিশ্চয়তার প্রয়োজন হয়। এখানে সেটা হয়নি। ম্যাক্সি একটা শব্দ শুনেছিল।’