একবার দুইবার নয়, ক্রিকইনফোর রিপোর্ট অনুযায়ী দশবারের বেশি কনকাশন অভিজ্ঞতা হয়েছে উইল পুকোভস্কির। কেন যেন বাউন্সার ধেয়ে আসলেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন তিনি, সেই তালগোলে এবার তাঁর ক্যারিয়ারও থমকে গেলো। ডাক্তারদের পরামর্শে ক্রিকেট থেকে সরে যেতে হলো তাঁকে।
সবশেষ এ বছরের মার্চেই রিলি মেরেডিথের বাউন্সে আঘাত পেয়েছিলেন এই ব্যাটার, এরপরই মেডিকেল টিম তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ব্যাট বল ছাড়তে বলেন। এরই মধ্যে তিনি একটি আইনি দলের সাহায্য নিয়েছেন, যারা তাঁকে ক্রিকেটকে বিদায় বলার পথ দেখাবে। একই সাথে বিদায়ের আগে আইনী একটা লড়াইও চালাবেন। নিয়োগ দিচ্ছেন আইনজীবিদের একটা দলকে। বিদায় নেওয়ার আগে ক্ষতিপূরণ নিতে চান পুকোভস্কি।
অথচ পুকোভস্কির ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল ঈর্ষনীয়। ঘরোয়া অঙ্গনে ধারাবাহিকতার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছিলেন তিনি, অস্ট্রেলিয়ার ভবিষ্যৎ ওপেনারও ভাবা হতো তাঁকে। সেসময় ডেভিড ওয়ার্নার যখন সঙ্গীর অভাবে ছিলেন সুযোগ চলে আসে তাঁর কাছে, ২০২০/২১ মৌসুমে বর্ডার গাভাস্কর ট্রফিতে একাদশে সুযোগ পান।
অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন এই তরুণ, কিন্তু আরো পরিপক্ব হয়ে আসার জন্য পুনরায় তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরত পাঠানো হয়। তাই তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্রেফ এক ম্যাচ খেলেই তুষ্ট হতে হচ্ছে – অথচ প্রতিভা আর সম্ভাবনা বিবেচনায় তিনি নি:সন্দেহে ছিলেন অজিদের নেক্সট বিগ থিঙ।
জাতীয় দলে আসার আগেই সাতবার মাথায় বলের আঘাত পেয়েছিলেন এই ডানহাতি। তবু খেলার প্রতি প্যাশন আর ডেডিকেশনের কারণে হাল ছাড়েননি তিনি। তবু ভাগ্য সহায় হয়নি, গত কয়েক বছরে একের পর এক ইনজুরি হানা দিয়েছে তাঁর হেলমেটের দুর্গ ফাঁকি দিয়েই – শেষমেশ তাই সরে যাওয়ার পথে হাঁটার ভাবনা ভাবতে হচ্ছে। সতীর্থ থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজম্যান্ট সবাই তাঁকে সেই পথই দেখাচ্ছে।
অলৌকিক কিছু না ঘটলে পুকোভস্কির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এখানেই ইতি ঘটছে। তবু আশা থাকে খানিকটা, হয়তো সাময়িক বিরতি কাটিয়ে একদিন আবারো বলের মুখোমুখি দাঁড়াবেন তিনি।