প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন, কিন্তু রাচিন রবীন্দ্রের কারণ ছায়ায় চলে যেতে হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনকে। তবে আলোতে ফিরতে সময় নেননি তিনি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও হাঁকিয়েছেন দুর্দান্ত এক শতক। অর্থাৎ একই টেস্টে দুইবার হেলমেট খুলে উদযাপনের সুযোগ পেয়েছেন কিউই অধিনায়ক।
আগের ইনিংসে ২৮৯ বলে ১১৮ রান করার পর এবার ১৩২ বলে ১০৯ রান করেছেন তিনি। ১২ চার আর এক ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে তাঁর এপ্রোচ ছিল খানিকটা আগ্রাসী। হয়তো টপ অর্ডারের অন্যরা নিয়মিত বিরতিতে প্যাভিলিয়নে ফেরায় আগ্রাসনের পথ বেছে নিতে হয়েছে তাঁকে।
মাত্র তিন রান করে টম লাথামের বিদায়ের পরে মাঠে এসেছিলেন এই ডানহাতি। এরপর ডেভন কনওয়েকে নিয়ে গড়েছেন ৯২ রানের জুটি, যেখানে তাঁর অবদান ছিল সিংহভাগ। এই ওপেনার ২৯ করে ফিরলেও অবিচল ছিলেন তিনি, কেবল ১২৫ বলে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।
দিনের শেষদিকে আউট হয়ে অবশ্য আক্ষেপ বাড়িয়েছেন এই তারকা। নিল ব্রান্ডের বলে ভারসাম্য হারিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়েছেন, ফলে ফিরতে হয়েছে সেঞ্চুরির পর পরই। যদিও ততক্ষণে কাজের কাজটা করে ফেলেছেন তিনি, তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কল্যাণে স্বাগতিকদের লিড পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম হান্ড্রেডের দেখা পেয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ৯৭ ম্যাচ খেলেই এই অর্জনের মালিক হয়েছেন তিনি, সেই সাথে সেঞ্চুরি সংখ্যায় ছাড়িয়ে গিয়েছেন বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা জো রুট, এবং দুই কিংবদন্তি চন্দরপল ও হাইডেনকে।
কেন উইলিয়ামসন কেন এতটা বিশেষ সেটা তাঁর কনভারসন রেট দেখলেই আন্দাজ করা যায়। এখন পর্যন্ত সাদা পোশাকে ৩৩টি ফিফটি করেছেন তিনি, অর্থাৎ ৬৪ বার পঞ্চাশ পেরিয়ে ৩১বারই সেটাকে তিন অঙ্কে রূপ দিয়েছেন। শতাংসের হিসেবে কনভারসন রেট দাঁড়ায় ৪৮.৪৪! যা কি না ঈর্ষান্বিত করবে বিশ্বের বাঘা বাঘা তারকাদেরও।
ক্যারিয়ারের শেষভাগে পৌঁছে গিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন, আর হয়তো কয়েক বছর, এরপরই শেষ সব। কিন্তু এই পড়ন্ত বিকেলেও যেভাবে আভা ছড়াচ্ছেন তিনি তাতে মুগ্ধ না হয়ে থাকা যায় না। তাই তো বিশেষ কোন অঞ্চল নয়, বরং পুরো ক্রিকেট বিশ্বই আসলে তাঁর ভক্ত।