ছুটছে চট্টগ্রাম

ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই দ্রুত ২৯ রান তুলে দুই ওপেনার। এরপর দলীয় ২৯ রানেই ফিরেন উইল জ্যাকস। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনের সাথে ২৩ রানের জুটির পথে ব্যক্তিগত ১৪ বলে ২৫ রানে ফিরেন কেনার লুইস। দ্রুতই ফিরেন আফিফও।

মিরপুরে বেনি হাওয়েল, নাইম ইসলামদের আধিপত্যের দিনে খুলনা টাইগার্সকে ২৫ রানে হারিয়ে বিপিএলের এবারের আসরে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

১৯১ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। এরপর রনি তালুকদারও দ্রুত ফিরলে ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন চাপে খুলনা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসানের সাথে কিছুদূর যেতেই রেজাউর রাজার বাউন্সারে ইনজুরিতে পড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার। এরপর মুশফিকের সাথে চাপ সামাল দিয়ে মেহেদি বেশ দারুন খেলছিলেন। দলীয় ৭২ রানে ২৪ বলে ৩০ করে মেহেদি ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা। দ্রুত মুশফিকও ফিরলে জয় থেকে ছিটকে যায় খুলনা। ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে তখন মুশফিকের দল। পঞ্চম উইকেটে ইয়াসির আলির সাথে দ্রুত রান তুলতে থাকেন সিকান্দার রাজা।

২৪ বলে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৪৩ রান! এই জুটিতে আবারো জয়ের আশা জাগে খুলনার। এরপর দলীয় ১১৯ রানে রাজা ফিরলে পুরোপুরি ছিটকে যায় খুলনা। রাজা ১২ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে করেন ২২ রান। থিসারা পেরেরা ফিরেন রানের খাতা খোলার আগেই। শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিলো ৫৯ রানের!

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই দ্রুত ২৯ রান তুলে দুই ওপেনার। এরপর দলীয় ২৯ রানেই ফিরেন উইল জ্যাকস। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনের সাথে ২৩ রানের জুটির পথে ব্যক্তিগত ১৪ বলে ২৫ রানে ফিরেন কেনার লুইস। দ্রুতই ফিরেন আফিফও। ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন চাপে চট্রগ্রাম। এরপর সাব্বির হোসেন ও মেহেদি মিরাজের ৪৮ রানের জুটি চাপ কাটিয়ে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।

দলীয় ১১৭ রানে মিরাজ ব্যক্তিগত ২৩ বলে ৩০ রানে ফিরলে দ্রুতই ফিরেন সাব্বিরও। ৩৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস শেষে সাব্বির ফিরলে ১৩১ রানে ৫ উইকেট হারায় চট্রগ্রাম। এরপর শামিম পাটোয়ারী ও বেনি হাওয়েলের ১১ বলে ৩২ রানের জুটি চট্রগ্রামকে শক্তিশালী পু্ঁজি এনে দেয়। শামিম ৯ রানে ফিরলেও হাওয়েলের ২০ বলে অপরাজিত ৩৪ ও নাইম ইসলামের ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯০ রান সংগ্রহ করে চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। খুলনার পক্ষে কামরুল ইসলাম সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন।

শেষ পর্যন্ত ইয়াসির আলির ২৬ বলে ৪০ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে খুলনা টাইগার্স।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৯০/৭ (২০ ওভার); হাওয়েল ৩৪(২০)*, সাব্বির ৩২(৩৩), মিরাজ ৩০(২৩); কামরুল ৩-০-৩৫-২, রেজা ৪-০-৩৫-১, নাভিন ৪-০-৪৮-১।

খুলনা টাইগার্স – ১৬৫/৯ (২০ ওভার); ইয়াসির আলি ৪০(২৬), মেহেদি ৩০(২৪), রাজা ২২(১২); রেজাউর ৪-০-২০-২, শরিফুল ৪-০-২৯-২, মিরাজ ৪-০-৪২-২, নাসুম ৪-০-৩০-১।

ফলাফলঃ চট্রগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ২৫ রানে জয়ী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...