ক্রিকেটে নো বল খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ফাস্ট বোলাররা রানআপ এবং ডেলিভারিতে তালগোল পাকিয়ে অনেক সময়ই পড়তে পারেন নো বলের ফাদে। কিন্তু আবু ধাবি টি-টেন লিগে স্যাম্প আর্মি দলের ফাস্ট বোলার হজরত বিলালের নো বল চোখ ছানাবড়া করতে বাধ্য যে কোন দর্শকদের।
একজন বোলার ওভারস্টেপিং করে কত বড় নো বল করতে পারেন? এক ইঞ্চি! এক ফুট? বিলালের নো বল ছাড়িয়ে গিয়েছে এক মিটারের ও বেশি।
ধারাভাষ্য কক্ষ থেকেই ভেসে এসেছে, ‘দিস ইজ নট গুড। ডাজন’ট ম্যাটার হাউ মেনি ডেলিভারিস ইউ হ্যাভ বোউলড, ইউ ক্যান নট বৌল দ্যাট বিগ আ নো বল উইদাউট ইন্টেনশন।’
ইংগিতটা স্পষ্ট। বিলাল ইচ্ছাকৃত নো বল করেছেন। আপাতদৃষ্টিতে এবং আবু ধাবি টি-টেন লিগের ইতিহাস মাথায় রাখলে, এই সন্দেহ না করার কোন কারণ নেই।
এই লিগে খেলতে গিয়েই ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন নাসির হোসেনসহ একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটই যেন ফিক্সিংয়ের কালো ঘেরাটোপে বন্দি। হ্যান্সি ক্রনিয়ে থেকে ২০১০ সালের কুখ্যাত আমির-আসিফ, কেউই বাদ যান নি, ফিক্সিংয়ের থাবা থেকে।
সারা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত কিংবা অখ্যাত ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলো যেন ফিক্সিংকে নিয়ে গিয়েছে মহামারীর পর্যায়ে। আইপিএল থেকে আবু ধাবি টি-টেন, বাদ যায় নি কোন লিগই। আলু বিক্রেতা থেকে মাল্টি মিলিওনিয়ার, সবাই বনে যাচ্ছেন ফ্রাঞ্চাইজি মালিক। তাদের চাই নগদ লাভ। সহজ সমাধান, ম্যাচ পাতাও, টাকা বানাও।
আইসিসির নীতি নির্ধারনী এখানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেবলমাত্র শাস্তির ব্যবস্থাতেই সমাধান হচ্ছে না। তাহলে সমাধান কি? প্রতিদিনিই যেন নতুন করে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসরকে অনুমোদন দিচ্ছে আইসিসি। অনুমোদন দিলে, সেগুলোর ওপর যথার্থ নজরদারিও তো রাখতে হবে!