পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনার সর্বজয়ী দলটার অন্যতম সদস্য ছিলেন জাভি হার্নান্দেজ। গার্দিওলার সেই বিখ্যার তিকি-তাকা ফুটবলের জন্য মাঝমাঠ ছিলো সেই দলটার প্রাণ। জাভি, ইনিয়েস্তাদের নিয়ে গড়া সেই মধ্যমাঠ বেশ অনেকটা সময় রাজত্ব করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলে।
খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করে সেই জাভি এখন বার্সেলোনার কোচ। ক্যারিয়ারের সেই স্বর্নালী সময়ের কথা এখনো মনে রেখেছেন জাভি। ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলাকে মানছেন তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে।
স্পেনের হয় বিশ্বকাপ আর ইউরো জেতার পর বার্সার হয়েও জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা সহ সম্ভাব্য সব শিরোপা। ক্যারিয়ারের সিংহভাগ সময়টা কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়। ২০২১ সালে বার্সার সুদিন ফিরিয়ে আনতে কোচ হিসেবে যোগ দেন বার্সা শিবিরে।
কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমটা ভালো না কাটলেও ধীরে ধীরে দলটাকে গুছিয়ে আনছেন জাভি। ১০ ম্যাচ বাকি থাকতেই প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছেন লা লিগা শিরোপা।
অবিশ্বাস্য কিছু না হলে ২০১৯ সালের পর আবারো লা লিগার শিরোপা জিততে যাচ্চে বার্সেলোনা। কোচ হিসেবে নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করছেন জাভি। তবে বিশ্বের সেরা কোচ কে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই সাবেক এই মিডফিল্ডারের মধ্যে। নিজের সাবেক কোচ গার্দিওলাকে অন্য সবার চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে রাখলেন জাভি।
জাভি বলেন, ‘আমার কাছে গার্দিওলা বিশ্বের সেরা কোচ। সে অসাধারণ। প্রথম থেকেই সে বিশ্বের এক নম্বর কোচ। অনুশীলনে সে খেলোয়াড়দের আকৃষ্ট করতে পারে। আমি তাঁর সাথে নিজেকে তুলনা করতে চাই না। আমি মাত্রই শুরু করেছি। আশা করি আমি তাঁর মত সাফল্য অর্জন করতে পারব। কিন্তু সেটা আমার জন্য নয়, ক্লাবের জন্য।’
ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুতে গার্দিওলাকে সতীর্থ হিসেবেই পেয়েছিলেন জাভি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে সতীর্থ হিসেবে লা লিগা জিতেছিলেন জাভি ও গার্দিওলা। সেই মৌসুমে প্রথমবার বার্সেলোর মূল দলে সুযোগ পান জাভি। অন্যদিকে তখন খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলার ছিলেন গার্দিওলা।
কোচ-খেলোয়াড় হিসেবেও এ দুজনের রসায়ন ছিলো দুর্দান্ত। ২০০৮-১২ সময়কালে বার্সেলোনাকে সম্ভাব্য প্রায় সব শিরোপাই জিতিয়েছিলেন গার্দিওলা। সেই দলের মাঝমাঠের প্রাণ ছিলেন জাভি। ওই চার বছরে তিনটি লা লিগা ও দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিলেন জাভি-গার্দিওলা জুটি।