ঘরের ছেলে জাকিরের উত্তাপে উত্তপ্ত সিলেট

গ্যালারিতে একটা ব্যানার, লেখা ছিল - প্রিয় সিলেট দল, আমাদের একটা জয় এনে দাও। সমর্থকের এমন করুণ আবেদন বোধহয় নাড়িয়ে দিয়েছে জাকির হাসানকে। সিলেটের ‘লোকাল বয়’ হিসেবে সমর্থকদের আবেদনও তাঁর কাছে ছিল সবচেয়ে বেশি। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এসব যেন জ্বালানি হয়ে ধরা দিলো জাকিরের হাতে।

গ্যালারিতে একটা ব্যানার, লেখা ছিল – প্রিয় সিলেট দল, আমাদের একটা জয় এনে দাও। সমর্থকের এমন করুণ আবেদন বোধহয় নাড়িয়ে দিয়েছে জাকির হাসানকে। সিলেটের ‘লোকাল বয়’ হিসেবে সমর্থকদের আবেদনও তাঁর কাছে ছিল সবচেয়ে বেশি। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে এসব যেন জ্বালানি হয়ে ধরা দিলো জাকিরের হাতে, আর সেই জ্বালানির শক্তিতে ঢাকাকে পুড়িয়ে দিলেন তিনি।

চলতি বিপিএলে তিন ম্যাচ খেলেও জয়হীন ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের মত ফর্মের একই হাল এই বাঁ-হাতিরও। নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন যেন, রংপুরের বিপক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি পেলেও সেটা ঠিক তাঁর সাথে মানানসই ছিল না।

সবমিলিয়ে তাই একটা প্রত্যাবর্তনের কাব্য লিখতেই হতো এই ওপেনারকে। তাঁর ওপর যে প্রত্যাশা সেই প্রত্যাশা পূরণ করতেই হতো। এজন্য বোধহয় এ ম্যাচের চেয়ে ভাল মঞ্চ হতে পারতো না, নিজের ঘরের মাঠে তাণ্ডব চালালেন তিনি।

উইকেটের একপ্রান্তে যখন সতীর্থ ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল চলমান, তখন অন্যপ্রান্তে ঢাকার বোলারদের ওপর স্টিমরোলার চালিয়েছেন জাকির। মুস্তাফিজুর রহমানকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন তিনি, আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে পাওয়ার প্লের পূর্ণ ফায়দা আদায় করে নেন।

মাত্র ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন এই ব্যাটার। লিটনদের ছুঁড়ে দেয়া ১৯৪ রানের টার্গেট একেবারে সহজ হয়ে গিয়েছে তাঁর সুবাদে। যদিও ইনিংস এরপর আর বড় করতে পারেননি তিনি, থেমেছেন ৫৮ রানে। তবে কাজের কাজটা হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে।

ডু অর ডাই ম্যাচ – থিসারা পেরেরার বল মুখে আঘাত হেনেও তাই দাবিয়ে রাখতে পারেনি জাকিরকে। এতদিনের অফ ফর্মের বোঝা এক ঝটকায় ঝেড়ে ফেললেন তিনি, ফিরিয়ে আনলেন ২০২৩ সালের ঝলক – এখন কেবল ধারাবাহিক হওয়া বাকি।

Share via
Copy link