কার্যকরী তবু কেন বিদ্রূপের শিকার আরিফুল?

২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি কাপে চার বলে চার ছক্কা হাঁকিয়ে অবিশ্বাস্য একটা জয় দলকে এনে দিয়েছিলেন আরিফুল হক। ফিনিশার হিসেবে তাঁর সামর্থ্য সেদিনই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। এমনিতেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্দেমারর একজন, তবু সিলেট স্ট্রাইকার্স যখন অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে নির্বাচন করলো, তখন ট্রলের বন্যা শুরু হয়েছিল ক্রিকেটাঙ্গনে। 

অবশেষে জয়ের দেখা পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। অধিনায়ক আরিফুল হকের ১৫ বলের ২৮ রানের ঝড়ো ক্যামিওতে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে তারা। চার বাউন্ডারি আর এক ওভার বাউন্ডারিতে প্রপার ফিনিশিং দিয়েছেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই দলকে স্বস্তির স্বাদ এনে দিয়েছেন আরিফুল।

২০২০ সালের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে চার বলে চার ছক্কা হাঁকিয়ে অবিশ্বাস্য একটা জয় দলকে এনে দিয়েছিলেন আরিফুল হক। ফিনিশার হিসেবে তাঁর সামর্থ্য সেদিনই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। এমনিতেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্দেমারর একজন। তবু সিলেট স্ট্রাইকার্স যখন অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে নির্বাচন করলো, তখন ট্রলের বন্যা শুরু হয়েছিল ক্রিকেটাঙ্গনে।

ট্রল করা সেই নিন্দুকদের মুখে এবার যেন ঝামা ঘষে দিলেন এই ডান-হাতি, বুঝিয়ে দিলেন কেন তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। জাকির হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের পথটা সহজ হয়ে গিয়েছিল সিলেটের জন্য, কিন্তু তিনি যখন উইকেটে এসেছিলেন তখন ছয় উইকেট হারিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়ে গিয়েছিল তাঁরা।

খাদের কিনারা থেকে তখন দলকে রক্ষা করেছেন কাপ্তান নিজেই। লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট যাকে বলে। আবু জায়েদ রাহির এক ওভারে দুই চার এবং এক ছয় হাঁকিয়েই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিলেন আরিফুল। ঠান্ডা মাথায় প্রোপার ফিনিশারের মতই সিলেটের নৌকা তীরে ভেড়ান তিনি। সমর্থকেরা তাঁর কাছে আসলে এটাই প্রত্যাশা করে।

পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে এই তারকার উত্থান দেশের ক্রিকেটের জন্য ছিল স্বস্তির। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতে কেন যেন ম্লান ছিলেন তিনি, তবে ঠিকঠাক সুযোগ পেয়েছেন কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।

ঘরোয়া অঙ্গনে অবশ্য বরাবরই তিনি সেরাদের একজন; আহামরি হয়তো কিছু করা হয়নি, খবরের শিরোনাম দখল করার মত কিছু করেননি তবু তাঁকে অন্তত ভরসা করা যায়।

Share via
Copy link