করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হয়েছে প্রচণ্ড। থমকে আছে ক্রিকেট বিশ্ব। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।
এত কিছুর মাঝেও তো স্বাভাবিক ফিটনেস ধরে রাখার কোনো বিকল্প নেই ক্রিকেটারদের। কিন্তু, ঘরে বসে আর কতক্ষণ? আবার, যাবেনই বা কোথায়? কে দেবে অনুশীলনের সুবিধা?
জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তাই নিজের অনুশীলনের ব্যবস্থা নিজেই করেছেন। নিজ হাতে তিনি বানাচ্ছেন অনুশীলনের উইকেট। মানে, এই পরিস্থিতিতে পিচ কিউরেটরের কাজটা নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
সাইফউদ্দিন এখ ফেনীতে আছেন। সেখানেই বানিয়েছেন উইকেট। তিনি জানিয়েছেন, ইউটিউব দেখে তিনি উইকেট বানানোর কৌশল রপ্ত করেছেন। যদিও, কাজটা সহজ ছিল না।
তিনি ফেসবুকে বলেছেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে বল করার সময় শুধু পা স্লিপ করছিল। উইকেট করার জন্য আজকে উদ্যোগ নিলাম। কিন্তু কাজটা অনেক কঠিন ছিল। ইউটিউবে ভিডিও দেখে কিভাবে উইকেট তৈরি করতে হয় আজকে করলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হয়েছে মনে হয়।’
এদিকে, জুলাইয়ের মধ্যেই ক্রিকেটীয় কার্যক্রম শুরু করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ জন্য দেশের আটটি ভেন্যুকে ইতোমধ্যে সম্পুর্ন প্রস্তুত করে নিয়েছে তারা। ডা. দেবাশিষ আরো জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা মাঠে যাতে প্রতিবন্ধকতাহীন অনুশীলন করতে পারেন সে জন্য মেডিক্যাল টিমও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
নিজ বাড়িতে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সরঞ্জাম না থাকা ক্রিকেটারদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। তবে, ঘরে বসে শতভাগ ফিটনেস ধরে রাখা সম্ভব নয়-বোর্ড সেটা বেশ ভালভাবেই জানে । তাই অন্তত ৮০ ভাগ ফিটনেস ধরে রাখতে ক্রিকেটারদের সহায়তা করার উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ড।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘ঘরে বসে ক্রিকেটাররা যদি অন্তত ৮০ ভাগ ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন তাহলেই আমরা খুশি। এই মুহুর্তে তাদের শতভাগ ফিটনেসের প্রয়োজনও নেই। তারা যখন আউটডোর অনুশীলন শুরু করতে পারবেন তখন তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই শতভাগ ফিট হয়ে যাবেন। শতভাগ ফিটনেসের জন্য যা করা দরকার ঘরের ভেতর বসে তা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।’