ক্ষুদ্র সংস্করণে বাংলাদেশি ওপেনারদের দীর্ঘ জুটি

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের যখন সিরিজের সূচি প্রকাশ হয় তখন অনেকেই ছোট দল ভেবে সবাই খানিক তাচ্ছিল্য করেছিল। স্বয়ং সাকিব আল হাসানও বলেছিলেন ছোট দলের সাথে খেলে বিশ্বকাপের আদর্শ প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব নয়।

অথচ মাঠের খেলায় ঘটেছে উল্টোটা, বাংলাদেশকেই নাকানিচুবানি খাইয়ে ছেড়েছে ক্রিকেটের নবীন দলটি। যদিও শেষ ম্যাচে তাঁদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে টিম টাইগার্স। আর এই জয়ে সামনে থেকে অবদান রেখেছেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং সৌম্য সরকার।

দু’জনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে প্রথমবারের মত দশ উইকেটে জেতার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই সাথে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা ওপেনিং জুটি বনে গিয়েছেন এই দুই বাঁ-হাতি; এদিন একত্রে অপরাজিত ১০৮ রান করেছিলেন তাঁরা।

সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটির তালিকায় সবার ওপরে আছেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। গত বছর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছিলেন তাঁরা, বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে যোগ করেছিলেন ১২৪ রান। যদিও রনির অফ ফর্মের কারণে এই দুজনের জুটি স্থায়ী হয়নি, পরবর্তীতে অবশ্য লিটন নিজেই ছন্দ হারিয়ে বসেছেন।

তাঁদের জায়গায় এখন আশা দেখাচ্ছে সৌম্য-তানজিদ। কেননা এর আগেও শতরানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, গত জিম্বাবুয়ে সিরিজেই তাঁদের একক অবদানেই বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তিন অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেছিল।

সৌম্য অবশ্য এক্ষেত্রে আরও বেশি এগিয়ে, কেননা নাইম শেখের সঙ্গে জুটি গড়েও ১০২ রান করেছিলেন তিনি। অর্থাৎ এখন পর্যন্ত চারবার টি-টোয়েন্টিতে কোন উইকেট না হারিয়ে একশো রান হতে দেখেছে সমর্থকেরা, আর এই চারবারের মাঝে তিনবারই তাঁর উপস্থিতি ছিল।

সবকিছু ঠিক থাকলে এই স্টাইলিশ ব্যাটারই ২০২৪ বিশ্বকাপে ইনিংসের সূচনা করবেন। তাঁর সঙ্গে তানজিদ তামিমের থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি, দু’জনের অর্জনের খাতায় আরও অনেক শতরানের জুটি যোগ হোক সেটাই এখন প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link