‘প্রোটিয়া চোকে’ রাজস্থানের জয়

দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার মানেই যেন চোকার, পুরোটা সময় ভাল খেলেও তীরে এসে তরি ডোবানোর স্বভাব তাঁদের। ট্রিস্টান স্টাবসও ব্যতিক্রম নন, দিল্লী ক্যাপিটালসকে জয়ের আশা দেখিয়েছেন ঠিকই কিন্তু শেষটা সুন্দর করতে পারলেন না।

খাদের কিনারায় থাকা দলকে একাই টেনে নিয়েছিলেন তিনি, খেলেছেন ২৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। তবে এমন পারফরম্যান্সও যথেষ্ট ছিল না জয়ের জন্য। নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে ১২ রান দূরে তাই থামতে হয়েছিল ঋষাভ পান্তের দলকে। এর মধ্য দিয়ে টানা দুই ম্যাচ হারের স্বাদ পেলো তাঁরা, অন্যদিকে রাজস্থান রয়্যালস উঠে এসেছে টেবিলের দুই নম্বরে।

আগে ব্যাট করতে রাজস্থান দ্বিতীয় ওভারেই হারায় যশস্বী জয়সওয়ালকে। সেট হয়েও এদিন ব্যর্থ হয়েছেন দুই ইনফর্ম ব্যাটার জস বাটলার ও স্যামসন। টপ অর্ডার ভেঙে পড়লেও ভেঙে পড়েনি দলটির মিডল অর্ডার। রবিচন্দন অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন রিয়ান পরাগ, এরপর সময় গড়াতেই আগ্রাসী হয়ে উঠেন তিনি।

অন্যপ্রান্তে অশ্বিন ২৯ রান করে থামলে ধ্রুব জুরেলের সঙ্গে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েন এই তরুণ। ততক্ষণে অবশ্য হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন, শেষপর্যন্ত ৪৫ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর তাতেই স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৮৫ রান।

বড় রান তাড়া করতে ওপেনিং জুটিকে আক্রমণাত্মক খেলতেই হতো। সেটাই করতে চেয়েছেন মিচেল মার্শ, তবে ১২ বলে ২৩ রান করেই থামতে হয় তাঁকে। একই ওভারে রিকি ভুঁই আউট হলে চাপে পড়ে দিল্লি, যদিও আরেক অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার সেই চাপ উড়িয়ে দিয়েছেন পরক্ষণেই।

ঋষাভ পান্তকে সঙ্কী করে বোর্ডে ৬৭ রান যোগ করেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪৯ রানে তাঁকে আউট করে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন আভেশ খান, এক ওভার পরে পান্তও ধরেন প্যাভিলিয়নের পথ। জয়ের সম্ভাবনা ততক্ষণে ফিঁকে হয়ে গিয়েছে।

তবু লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ট্রিস্টান স্টাবস, অক্ষর প্যাটেল আর তাঁর জুটিতেই শেষপর্যন্ত ম্যাচে টিকে থাকতে পেরেছে দিল্লি। যদিও শেষ ওভারে ১৭ রানের সমীকরণ মেলানো সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে; পরাজয়ের বেদনা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link