হৃদয়-মিরাজের ছিল দুই ভিন্ন রোল

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইমড আউট, মাঠে লঙ্কানদের আগ্রাসী আচরণ আর ম্যাচ শেষে হ্যান্ডশেক না করেই শ্রীলঙ্কার ড্রেসিংরুমে চলে যাওয়া – বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে এমন অনেক ঘটনাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পুরো ক্রিকেট বিশ্বই এখন এসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে ব্যস্ত।

তবে এর পাশাপাশি আরো দুইটি ঘটনা আলাদাভাবে নজরে এসেছে টাইগার সমর্থকদের। যার একটিতে দেখা গিয়েছে ডাগ আউটে বসা মেহেদি হাসান মিরাজকে ধমকের সুরে কি যেন বলছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান; অন্যটিতেও প্রায় একই ব্যাপার, জয় নিয়ে ফেরা তাওহীদ হৃদয়কে খানিকটা শাসন করেছেন তিনি।

কিন্তু কেন হঠাৎ দলের দুই জুনিয়েরর প্রতি বিরক্ত হয়েছেন সাকিব, ভিডিও ক্লিপগুলো ছড়িয়ে পড়ার পরেই উত্তরটা জানার আগ্রহ জন্ম হয়েছে সবার মাঝে। আসলে, জয়ের কাছাকাছি এসে আউট হয়েছিলেন মিরাজ, বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসাতেই মূলত ক্যাপ্টেনের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।

আর হৃদয়কে বকা শুনতে হয়েছে মিরাজকে শট খেলতে বলার কারণে। ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ায় এই স্পিন অলরাউন্ডারকে ধরে খেলার নির্দেশ দিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু বাইশ গজে থাকা হৃদয় তাঁকে দ্রুত রান তুলতে বলেন। সেই চেষ্টা করতে গিয়েই লং অফে ধরা পড়েন মিরাজ। সেজন্যই সাকিবকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘তোরে (হৃদয়) মারতে কইছি, ওরে (মিরাজ) মারতে কই নাই।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হারাতেই হবে লঙ্কানদের এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২৬তম ওভারে সাকিব বোলিংয়ে আসতেই ঘটে ইতিহাস, টাইমড আউট হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস; এরপর দুই দলই বারবার বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছে, ফলে মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল এটি।

শেষমেশ অবশ্য বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ; ফলে নেট রানরেটে শ্রীলঙ্কাকে পিছনে ফেলে সাত নম্বরে উঠে এসেছে টাইগাররা। দুর্দান্ত একটা জয় পাওয়ার পরেও জুনিয়রদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে ছাড় দেননি অধিনায়ক, সেজন্যও প্রশংসা পাওয়া উচিত তাঁর। একই সাথে আশা করা যায় যে, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে কাজে লাগাবেন হৃদয়, মিরাজরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link