পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভারত যেভাবে খেলেছে, সেখানে সমালোচনার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ফাইনাল ম্যাচ বাদে বাকি সময় নিঁখুত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে তাঁরা। শুধু দশটা জয়, প্রতিটা ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করা, প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়া স্বাগতিক দর্শকদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজয়ের পরেও ক্রিকেটারের নিয়ে কোন আক্ষেপ করছেন না সমর্থকেরা।
কিন্তু রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা বেশিদিন দলের সাথে থাকবেন না। অন্তত ২০২৭ সালের বৈশ্বিক আসরে তাঁদের দেখা যাবে না সেটা প্রায় নিশ্চিত। সেজন্যই প্রশ্ন উঠেছে এরপর কি হবে, পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য কিভাবে সাজানো হবে ভারতীয় দল?
ভবিষ্যত অধিনায়ক হিসেবে অবশ্য প্রায় সবারি পছন্দ হার্দিক পান্ডিয়াকে। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধীনে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা পান্ডিয়া শিখেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ এর কাছ থেকে। এরপর বিরাট কোহলির নেতৃত্বেও খেলেছেন লম্বা একটা সময়।
আবার আইপিএলে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে ছিলেন, আর এখন নিজেই গুজরাট লায়ন্সের ক্যাপ্টেন। তাই তো রোহিতের পর ভারতের সাদা বলের দুই ফরম্যাটে হয়তো অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সম্ভবত এই অলরাউন্ডার পেতে যাচ্ছেন।
তিনি ছাড়াও নেতৃত্বস্থানীয় জায়গায় থাকবেন লোকেশ রাহুলও। ২০১৪ সালে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটার এখন টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম ভরসা। মিডল অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি, আবার উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে দেখা যায় তাঁকে। সব ফরম্যাটে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।
রাহুলের মতই ভারতের বর্তমান ও ভবিষ্যতের মূল্যবান অস্ত্র শুভমান গিল। এই বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিতে না পারলেও প্রতিভার ছাপ ঠিকই রেখেছেন তিনি। সত্যি বলতে গিল, রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার, ঈশাণ কিষাণ এরাই হতে যাচ্ছেন দলটির ভবিষ্যৎ কান্ডারি।
ভারতের বোলাররা অবশ্য সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে অপ্রত্যাশিতভাবে ভাল করেছেন। তবে আগামী দিনগুলোর কথা ভেবে নতুন আরেকটি বোলিং বিভাগ গড়ে তুলতে হবে ভারতকে।
রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে ফাইনাল ম্যাচের পরেই। এই কিংবদন্তির মেয়াদ নবায়ন করা হবে কি না কিংবা তিনি নিজে সেটা চাইবেন কি না তা এখনি বলা যাচ্ছে না। তবে যা করার এখনি করতে হবে, দুই বছর অনেক বেশি মনে হলেও দল গুছাতে চাইলে অবকাশের সুযোগ নেই।