বিশ্বকাপটা ভাল যায়নি, এরই মাঝে নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব কাঁধে উঠেছে। সুরিয়াকুমার যাদবের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা তাই অগ্নিপরীক্ষার সমানই বটে। প্রথম পরীক্ষায় অবশ্য লেটার মার্কস উতরে গিয়েছেন তিনি; তাঁর ‘ক্যাপ্টেন্স নক’ এর বদৌলতে অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ উইকেটে হারালো ভারত।
আগে ব্যাট করতে দুই অজি ওপেনার শুরুটা করেছিলেন দেখেশুনে। তবে এই জুটিকে স্থায়ী হতে পারেনি, ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হন ম্যাথু শর্ট। সেটা অবশ্য শাপে বর হয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য, তিন নম্বরে নামা জশ ইংলিস প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ফলে দলটির রান রেট তরতর করে বাড়তে শুরু করে।
মাত্র ২৯ বলেই ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটার; একই সাথে দলের রানও শতকের ঘরে নিয়ে যান তিনি। অন্যপ্রান্তে স্টিভ স্মিথও হাফসেঞ্চুরি করেন, তবে পরের বলেই আউট হন তিনি। যদিও তাতে ইংলিস ঝড় থেমে যায়নি, একের পর এক বাউন্ডারি আদায় করে স্রেফ ১৮ বলের ব্যবধানে ৫০ থেকে ১০০ তে পৌঁছে যান এই উইকেটকিপার।
তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক শতকে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় দল। ১১০ রান করে তিনি ফিরলেও টিম ডেভিডের ছোট ক্যামিওতে ২০৮ রানের পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে।
জবাবে প্রথম বলেই চার মেরে দারুণ সূচনা করেন যশস্বী জসওয়াল। তৃতীয় বলে ছক্কাও হাঁকান তিনি, কিন্তু বিপত্তি বাঁধে পঞ্চম বলে। রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়েন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়; জয়সওয়ালও পারেননি বড় রান করতে। ২২ রানে দুই উইকেট হারানো ভারতের ত্রাতা হয়ে আসেন সুরিয়াকুমার। ঈশান কিষাণকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১১২ রানের জুটি, তাতেই ম্যাচে ফিরে আসে স্বাগতিকরা।
৩৯ বলে ৫৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ঈশান আউট হলেও অবিচল ছিলেন সুরিয়া; দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। ২৯ বলে যখন ব্যক্তিগত পঞ্চাশ পূর্ণ করেন এই ডানহাতি, জয়ের জন্য তখনও প্রয়োজন ছিল ৬৬ রান। সেই সমীকরণ অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে তাঁর ৮০ রানের দুর্দান্ত একটা ইনিংস।
সহজ সমীকরণটা মেলাতে আর সমস্যা হয়নি; রিংকু সিংয়ের অনবদ্য ফিনিশিংয়ে জয় পেয়েছে তাঁরা। এই তরুণের ১৪ বলে ২৮ রানে ভর কল্যাণে শেষ বলে অজিদের হারালো টিম ইন্ডিয়া।