২০১৪ সালে দোহায় এশিয়া একাদশের হয়ে একটা প্রীতি ম্যাচ খেলেন তামিম ইকবাল, প্রতিপক্ষ ছিল বিশ্ব একাদশ। সেখানে সনাথ জয়াসুরিয়া, আব্দুল রাজ্জাক, আকাশ চোপড়া, ব্রায়ান লারা কিংবা হার্শেল গিবসের মত ‘বুড়ো’রাও ছিলেন। আরও একজন ছিলেন কোরি কলিমোর। সেটাই তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচ।
কিন্তু, কে এই কোরি কলিমোর? তিনি বাংলাদেশের নতুন পেস বোলিং কোচ। অ্যালান ডোনাল্ড চলে গেছেন বিশ্বকাপ শেষেই। অল্প সময়ের মধ্যে টাইগারদের জন্য বোলিং কোচ খুঁজে আনাও সম্ভব না। সিরিজের জন্য আপাতত বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে যোগ হয়েছেন বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের বোলিং কোচ কোরি কলিমোর।
খেলোয়াড়ী জীবনে কলিমোর খেলেছেন ৩০ টি টেস্ট ও ৮৪ টি ওয়ানডে। স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে তাঁর ক্যারিয়ার খুব বেশি বড় হয়নি। টেস্টে ৫৩ ইনিংসে ৯৩ উইকেট, ও ওয়ানডেতে ৮০ ইনিংসে নেন ৮৩ টি উইকেট। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে দলটা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে সেই দলের সদস্য ছিলেন কলিমোর।
বার্বাডিয়ান এই ক্রিকেটার অবশ্য কাউন্টি ক্রিকেটের বড় মুখ। ১৬৭ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, পেয়েছেন ৪৯২ টি উইকেট। খেলেছেন ওয়ারউইকশায়ার, সাসেক্স ও মিডলসেক্সের মত দলের হয়ে। খেলেছেন ২০১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত।
তবে, কোচ হিসেবে কলিমোরকে অনভিজ্ঞ বলার কোনো সুযোগ নেই। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পেস বোলিং কোচ ছিলেন তিনি। হেড কোচ হিসেবে কাজ করেছেন বার্বাডোজ নারী ক্রিকেট দলের সাথেও।
এর আগে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সাথে চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাইলেও রাজি হননি এই দক্ষিণ আফ্রিকান। তাই, আপাত এইচপি ইউনিটের বোলিং কোচকে দলের সাথে রাখা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তাঁর কাজ দেখবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পারফরম্যান্স সন্তোষজনক হলে তিনি টিকে যেতে পারেন জাতীয় দলে।