দলে নেই তবুও দলের সাথে মুশফিক-নাহিদ

সিলেটে বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাদা পোশাকে মাঠে নামবে টাইগাররা। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে প্রস্তুতিতে মনোযোগ গোটা দলের। তবে এদের মধ্যেও রয়েছেন দুই আলাদা মুখ। দুইজনই আবার পেসার। নাহিদ রানা ও মুশফিক হাসান রয়েছেন দলের সাথে।

অথচ তারা দুইজন নেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কেন তারা তবে দলের সাথে? সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে হেড কোচ চান্ডিকা হাতুরুসিংহের কাছে। তিনি স্পষ্ট করেই দিয়েছেন উত্তর। দলের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতেই নাহিদ ও মুশফিক রয়েছেন দলের সাথে।

এ নিয়ে হাতুরু বলেন, ‘তারা টেস্টে দলের বিবেচনায় এখানে আসেনি। তারা এখানে এসেছে আমাদের পরবর্তী সেরা বোলার হিসেবে, যাদেরকে আমরা বাছাই করতে পেরেছি এবং তারা এনসিলেও ভাল করেছে। তাই আমরা চেয়েছি তারা যাতে জাতীয় দলের সেটআপে অন্তর্ভুক্ত হয়।’

দুই তরুণ পেসার। এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে নাহিদ রানা খেলেছেন রাজশাহী বিভাগের হয়ে। অন্যদিকে মুশফিক হাসান ছিলেন রংপুর শিবিরে। উইকেটের ট্যালিটা নাহিদের ভারী হলেও মুশফিক খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন।

১১টি উইকেট রয়েছে নাহিদের নামের পাশে। অন্যদিকে এক ম্যাচ খেলা মুশফিক বাগিয়েছেন দুইটি উইকেট। পরিসংখ্যান খুব একটা ভারিক্কি বহন করে না। তবে নজর অবশ্য তারা কেড়েছেন বটে। এই দুইজনের মধ্যে মুশফিক হাসান লম্বা সময় ধরেই রয়েছেন বিসিবির রাডারে। বাংলা টাইগার্স, বাংলাদেশ এ দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মুশফিকের। এমনকি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি।

তাছাড়া কয়েকদিন আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে দারুণ পারফরম করেছেন মুশফিক। অন্যদিকে নাহিদের উত্থানের গল্পে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। বিপিএলের গত আসরে গতির ঝড় তুলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন নাহিদ রানা। মিরপুরের মন্থর উইকেটেও তার বলের গতি ছাড়িয়েছিল ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার কোটা।

এই বিষয়গুলোই আসলে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে নাহিদ আর মুশফিকের ক্ষেত্রে। তাইতো তাদেরকে জাতীয় দলের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার একটা ব্যবস্থা করে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকি প্রথম টেস্টের জন্যে হওয়া টিম মিটিংয়েও জায়গা পেয়েছেন এই দুইজন। অন্তত দেরীতে হলেও একটা সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন উদাহরণ মিলেছে।

নাহিদের ক্ষেত্রে একটু দ্রুত হলেও মুশফিক যথেষ্ট সময় পেয়েছেন জাতীয় দলের খুব কাছে চলে আসার। মুশফিক-নাহিদরা দলের সাথে থাকছেন। অনুশীলন করছেন। দলের ভেতরকার মানসিকতা উপলব্ধি করবার সুযোগ পাচ্ছেন। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলের অন্দরমহলের পরিস্থিতি কেমন হয় সেটাও তারা অনুভব করতে পারবেন।

মানসিকভাবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এই খুটিনাটি বিষয়গুলোও নানাভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এদিক থেকে অন্তত সাধুবাদ জানানো যেতেই পারেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের নীতি-নির্ধারকদের। তাছাড়া পেসারদের ইনজুরি প্রবণতাও বেশি। সেদিক থেকে পরবর্তী পেসারদের তৈরি রাখাও ভীষণ প্রয়োজন। সেসব চিন্তা থেকেই হয়ত এমন পদক্ষেপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link