সিলেট টেস্টের দুইদিন শেষ; তবে বাংলাদেশ বা নিউজিল্যান্ড কাউকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। দুই দলই সমানে সমানে লড়ছে, ৪৪ রান পিছিয়ে থাকা কিউইদের হাতে এখনো দুই উইকেট আছে। এখান থেকে টেস্টটা বাংলাদেশ জিতেও যেতে পারে। তবে টাইগাররা একটু হলেও এগিয়ে থাকার সুযোগ হাতছাড়া করেছে।
স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের কণ্ঠে তাই সন্তুষ্টির পাশাপাশি আক্ষেপও ছিল। তিনি বলেন, ‘সব মিলে স্পিনাররা ভালোই করেছে। তবে আমরা আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারতাম। আমরা ৮ উইকেট শিকার করেছি, সে হিসেবে দিনটা ভালোই।’
দিনের সেরা তাইজুল ইসলামের প্রশংসা করে এই লঙ্কান বলেন, ‘তাইজুল আমাদের লিডিং স্পিনার। সে চাপ সৃষ্টি করে, ভালো করতে মরিয়া হয়ে থাকে। এভাবেই আজ ৪ উইকেট পেয়েছে। আমি তার বোলিং নিয়ে খুশি। সাকিব খেলছে না, সেখানে তাইজুল বড় এক ভূমিকা পালন করছে। সে একইসাথে আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক। সে সবময় লাইন লেন্থের উপর নির্ভর করে। সেটাই ধরে রাখতে হবে।’
অন্যদিকে নাঈম হাসানকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে কয়েক বছর পর খেলছে। যে খেলোয়াড় দলে ছিল না সে এসে এত ভালো করছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো লাইন লেন্থে বল করেছে, আত্মবিশ্বাসীও ছিল। সে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দারুণ সম্ভাবনা।’
অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্ত মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। চোখ এড়ায়নি স্পিন কোচেরও, তিনি বলেন, ‘শান্ত ভালোই করেছে। বোলারদের সুন্দরভাবে ব্যবহার করেছে।’
এই টেস্টে স্বাগতিক দল চালকের আসনে বসতে পারতো। দারুণ ফিল্ড প্লেসমেন্ট আর বোলিংয়ের কল্যাণে একাধিক সহজ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, কিন্তু সেটা লুফে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন টাইগাররা। ফিল্ডিং বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে কি না এমন প্রশ্নে হেরাথ বলেন, ‘অবশ্যই। এভাবে ক্যাচ ছেড়ে দিলে তো মুল্য চুকাতে হবে। যেমন উইলিয়ামসনের রানগুলো। সুযোগ পেয়ে সে ৬০-৭০ রান বেশি করেছে। আমাদের এসব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’
ঘরের মাঠে কেমন কম্বিনেশনে খেলবে বাংলাদেশ সেটা নিয়ে ম্যাচের আগে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। তবে সাবেক এই কিংবদন্তি স্পিনার মনে করেন কম্বিনেশন নিয়ে এখন আর চিন্তিত হওয়ার তেমন কারণ নেই। একটা পেসার বা একটা স্পিনার – যেটাই হোক না কেন, ম্যাচে বোলারদের লড়াই করতে হবে।’