সিরিজের প্রথম ম্যাচেই রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছিল তাঁরা। অবশ্য পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় জস বাটলারের দল, ছয় উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়। কিন্তু শেষ ম্যাচে চার উইকেটে জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিক উইন্ডিজ, আর এর মধ্য দিয়ে নতুন এক স্বাদ পায় দলটির ক্রিকেটাররা।
‘নতুন’ শব্দটা দেখে হয়তো অবাক হতে পারেন, সিরিজ জয় এই আর এমন কি। তবে অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই, কেননা সর্বশেষ ১৬ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিততে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে সময় যে বর্তমান দলের কেউই ছিলেন না সেটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। এছাড়া ১৯৯৮ সালের পর এবারই প্রথম উদযাপনের এমন উপলক্ষ পেল তাঁরা।
বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা আগেই তৈরি করেছিলেন ক্যারিবিয়ান পেসার ম্যাথু ফরডে। প্রথম ওভারেই ওপেনার ফিলিপ সল্টকে আউট করেন তিনি, ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে জ্যাক ক্রলিকে বাধ্য করেন উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে। আবার আরেক ওপেনার উইল জ্যাকসকেও ঝুলিতে পুরেন এই ডান-হাতি। অভিষেক ম্যাচেই একাই ইংলিশ টপ অর্ডারকে গুঁড়িয়ে দেন তিনি।
যদিও বেন ডাকেটের ফিফটিতে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে বাটলাররা, এছাড়া লিভিংস্টোন ৪৫ রান করায় কোন মতে দলীয় রান ২০০ পার হয়। কিন্তু জয়ের জন্য সেটা যথেষ্ট হয়নি। কিচ কার্টির হাফসেঞ্চুরি আর রোমারিও শেফার্ডের ক্যামিওর কল্যাণে নির্ধারিত লক্ষ্য টপকে যায় শাই হোপের দল, অবশ্য বৃষ্টির কারণে ১৮৮ রান তাড়া করতে হয়েছিল তাঁদের।
ইংলিশদের বিপক্ষে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অধিনায়ক হোপ, প্রথম ম্যাচে শতক হাঁকানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও অর্ধ-শতকের দেখা পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরষ্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
পারফরম্যান্স ছাড়াও আরো একটা কারণে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই উইকেটকিপার। জয়ের নায়ক ফরডের হাতে সিরিজ জয়ের ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন তিনি; এমন মুহূর্ত নিশ্চয়ই এই তরুণ ক্রিকেটারকে ভবিষ্যতে আরো দারুণ কিছু করার অনুপ্রেরণা জোগাবে।