প্রোটিয়া ঝড়ে উড়ে গেল সুরিয়ার ভারত

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না সুরিয়াকুমার যাদব, রিংকু সিংরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস বিদেশের মাটিতে কাজে লাগাতে পারলো না ভারত। স্বাগতিক ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্লান হলো সুরিয়া, রিংকুর পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদের মুখে পড়ে ভারত। প্রথম ওভারে ফিরে যান যশস্বী জসওয়াল, পরের ওভারে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার শুভমান গিল। প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে দলের হাল ধরেন তিলক ভার্মা আর সুরিয়াকুমার। তবে জেরাল্ড কোয়েটজি তিলককে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন দলকে।

সুরিয়া অবশ্য অবিচল ছিলেন, ৫৫ রানে তিন উইকেটের পতন ঘটা সত্ত্বেও রিংকু সিংকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। আর তাতেই ম্যাচে ফেরে সফরকারীরা; দুজনের ৭০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় দলটি।

ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি করে থামেন এই বাঁ-হাতি; লোয়ার মিডল অর্ডারে আর কেউই পারেননি বলার মত কিছু করতে। শেষপর্যন্ত রিংকু এর অপরাজিত ৩৯ বলে ৬৮ রানের ঝকঝকে ইনিংসে ভর করে ১৮০ রান করে টিম ইন্ডিয়া। যদিও বৃষ্টি বাধায় প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫ ওভারে ১৫২ রান।

জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। দুই ওভারেই ৩৮ রান তোলেন তাঁরা, তবে বিদঘুটে রান আউটের ফাঁদে আটকা পড়েন তরুণ ম্যাথিউ ব্রিটজকে। তাতে অবশ্য তান্ডব কমেনি, এইডেন মার্করামকে নিয়ে রিজা হেন্ড্রিকস পাঁচ ওভারে যোগ করেন ৫৪ রান, রান তাড়ার কঠিন কাজটা সহজ হয়ে যায় এতেই।

যদিও পরপর দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলার চেষ্টা করে ভারত। ৩০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মার্করাম, আর ব্যক্তিগত ফিফটি থেকে এক রান দূরে থামেন হেন্ড্রিকস। পরের ওভারে হেনরিখ ক্ল্যাসেন আউট হলে চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা, তবে সেই চাপ বাড়তে দেননি ডেভিড মিলার, ১২ বলে ১৭ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল কেবল বারো রান। সেই সমীকরণ মাত্র পাঁচ বলেই মিলে গেলে জয়ের আনন্দে ভাসে স্বাগতিক দর্শকেরা; আর পাঁচ উইকেটের বড় জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link