ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলামে দুই শশাঙ্ক সিংকে নিয়ে সৃষ্ট সংশয় এখন টক অব দ্য টাউন। ১৯ বছর বয়সী তরুণ শশাঙ্ককে কিনতে গিয়ে ভুল করে পাঞ্জাব কিংস দলে নিয়েছিল ৩২ বছর বয়সী আরেক শশাঙ্ককে। তখনি ভুল শুধরে নেয়ার চেষ্টা করেছিল দলটি, কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে।
এমন ভুল আর কোন ফ্রাঞ্চাইজি না করলেও টিম কম্বিনেশনের ক্ষেত্রে ছোটখাটো ভুল সবাই করেছে। এই যেমন নিলামের আগে চেন্নাই সুপার কিংসের লক্ষ্য ছিল অভিজ্ঞ কোন দেশি ব্যাটারকে দলে নেয়া, যাতে আম্বাতি রায়ডুর অভাব কিছুটা পূরণ হয়। কিন্তু মনীশ পান্ডে, করুণ নায়ারদের কাউকে স্কোয়াডে নিতে ব্যর্থ হয়েছে তাঁরা।
অন্যদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কোন ফিঙ্গার স্পিনার নিতে পারেনি নিলাম থেকে। হৃতিককে রিটেইন না করায়, বিশেষজ্ঞ ফিঙ্গার স্পিনার প্রয়োজন ছিল তাঁদের। যদিও লেগি শ্রেয়াস গোপালকে নিয়েছে দলটি; আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু তো কোন স্পেশালিষ্ট স্পিনারই নেয়নি, একাধিক লোকাল স্পিন অপশন থাকলেও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মত বোলার নেই কোহলিদের স্পিন বিভাগে।
পাঞ্জাব অবশ্য তালগোল পাকিয়েছে বিদেশি ক্রিকেটার কেনার ক্ষেত্রে। একই পজিশনে একাধিক দামী ক্রিকেটার থাকায় টিম ম্যানেজম্যান্টকে বাড়তি ভাবনা ভাবতে হবে, তাছাড়া শাহরুখ খানের বিকল্প হিসেবে কাউকে দলে নেয়নি তাঁরা। কলকাতা নাইট রাইডার্স সেই তুলনায় অনেক ভুল করেছে।
মিচেল স্টার্ক ছাড়া বড় কোন নাম স্কোয়াডে ভেড়াতে পারেনি তাঁরা; পেস আক্রমণ তাই একেবারে অনভিজ্ঞ রয়ে গিয়েছে। সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা অফ ফর্মে গেলে সেটা সামাল দেয়ার মতও তেমন কেউ নেই।
রাজস্থান রয়্যালস শুরুতে চমক দেখালেও অস্বস্তি নিয়েই শেষ করেছে নিলাম। রিয়ান পরাগের টানা বাজে পারফরম্যান্সের কারণে একজন প্রোপার অলরাউন্ডার বড্ড প্রয়োজন ছিল তাঁদের, কিন্তু সেই জায়গায় কাউকে কিনতে পারেনি জস বাটলারের দল, আবার তাঁদের মোট ক্রিকেটারও বাকি দলগুলোর চেয়ে কম।
দিল্লি ক্যাপিটালস একগাদা উইকেট কিপার কিনেছে ঠিকই, কিন্তু কাজের কাজ তেমন হয়নি। দলটির ব্যাটিং লাইনআপ ডেভিড ওয়ার্নার, মার্শদের ওপর অতি-নির্ভর; আবার মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ কোন ব্যাটার না থাকা সমস্যায় ফেলতে পারে তাঁদের।