সহস্র রানে শাহরিয়ারকে ছাপিয়ে যাবেন শান্ত!
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৫৯ রান করতে পারলেই দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এক পঞ্জিকা বর্ষে এক হাজার ওয়ানডে রানের মালিক বনে যাবেন তিনি।
২০১৮ সালের এশিয়া কাপ দিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক, কিন্তু পায়ের নিচে মাটি শক্ত করতে নাজমুল হোসেন শান্তর লেগে গিয়েছে চার বছর। ২০২৩ সালে প্রথম নিজের সামর্থ্যের প্রতিফলন দেখাতে পেরেছেন তিনি, পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে রান করেছেন ধারাবাহিকভাবে; এই ফরম্যাটে তাঁকে এখন দেশের সেরা ব্যাটার বললেও তাই ভুল হবে না।
এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কল্যাণে অনবদ্য এক রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন নাজমুল শান্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৫৯ রান করতে পারলেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক পঞ্জিকা বর্ষে এক হাজার ওয়ানডে রানের মালিক বনে যাবেন তিনি – আপাতত দুই সেঞ্চুরিতে ভর করে এই বছর এখন পর্যন্ত ৯৪১ রান করেছেন এই বাঁ-হাতি।
এর আগে ২০০৬ সালে দারুণ সময় কাটিয়েছিলেন শাহরিয়ার নাফিস। সেবার ২৮ ইনিংসে ১০৩৩ রান করেছিলেন তিনি, সেই সাথে হাঁকিয়েছিলেন তিনটা শতক। তখনকার লাল-সবুজের ক্রিকেট শক্তি বিবেচনায় এমন অর্জন নি:সন্দেহে অতুলনীয়।
এরপর কয়েকবারই এক বছরে ২৫-৩০ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। হাজারি ক্লাবে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন তামিম, মুশফিকরা; কিন্তু শেষমশ নাফিসকে ছোঁয়ার সাধ্য হয়নি কারোই।
আপাতত সেই সুযোগ কড়া নাড়ছে শান্তর দরজা; যদিও সর্বশেষ বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলে আরো আগেই এই মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন তিনি। টানা ছয় ম্যাচ এক অঙ্কের ঘরে আউট হওয়ার কারণেই পিছিয়ে পড়েছেন তিনি, আবার চলতি কিউই সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগার অধিনায়ক।
রেকর্ড গড়তে তাই শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। ৫৯ রান করতে পারলে হাজারি ক্লাবে প্রবেশ করবেন, আরো ৩৪ রান করতে পারলে নাফিসকে ছাড়িয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশী হবেন তিনি। এই তারকা কি পারবেন স্বপ্নকে বাস্তবে নামিয়ে আনতে – সেটাই দেখার বিষয়।