সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। দীর্ঘ ১৪ মাসের বিরতি কাটিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবেন তাঁরা। এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলেছিলেন এই জুটি।
এরপর থেকেই সংক্ষিপ্ত সংস্করণ থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটি দেয়া হয়েছিল তাঁদের। তাই একটা সময় সংশয় জেগেছিল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁদের থাকা নিয়েও – যদিও আফগানদের বিপক্ষে ডাক পাওয়ায় সেই সংশয় উড়ে গিয়েছে। কিন্তু একই সাথে নতুন প্রশ্নের জন্ম হয়েছে – হঠাৎ করে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ফেরানো টিম ইন্ডিয়ার ভারসাম্য নষ্ট করবে?
২০২২ সালের পর থেকে বিশ ওভারের ফরম্যাটে তারুণ্য নির্ভর দল গড়েছে ভারত। রুতুরাজ গায়কোয়ার, যশস্বী জসওয়াল, তিলক ভার্মাদের মত উদীয়মানরা দায়িত্ব নিয়েছেন; কিন্তু রোহিত-বিরাট ফেরায় এদের মধ্যে অন্তত দুজনকে যেতে হবে একাদশের বাইরে। লম্বা সময় ধরে পরিকল্পনা করে একটা স্কোয়াড দাঁড় করানোর পর আবার সিদ্ধান্তের বদল ভাল ভাবে নিতে পারছেন না অনেকে।
তবে বিসিসিআইয়ের সাবেক নির্বাচক সারানদীপ সিং এমন সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক ছিল। আইসিসি ইভেন্টে যারা চাপ সামলাতে পারবেন তাঁদেরকেই আপনার প্রয়োজন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনেই অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিল। যাই হোক এই পরিবর্তন জয়সওয়াল ও রুতুরাজের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
একই সাথে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দুই কিংবদন্তিকে দলে না রাখার সিদ্ধান্তকেও যৌক্তিক দাবি করেছেন সাবেক এই স্পিনার। তিনি বলেন, ‘আপনাকে বেঞ্চের শক্তিও যাচাই করতে হবে। সব মিলিয়ে এটাই হবে তাঁদের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। রোহিত এবং বিরাটকে বিশ্রাম না দিলে, আপনি জসওয়াল, রুতুরাজ, জিতেশ শর্মা সহ অন্যদের পেতেন না।’
২০১৩ সালের পর থেকে বড় কোন শিরোপা জিততে পারেনি ভারত, ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছে এসেও হতাশ হতে হয়েছে তাঁদের। রোহিত শর্মার দল এবার কি পারবে তীরে তরী ভেড়াতে নাকি আরো একবার স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণা সঙ্গী হবে বিরাটদের – উত্তরটা জানা যাবে কয়েক মাস পরেই।