অভিষেক মৌসুমেই বাংলাদেশ প্রিমিয়াম লিগের (বিপিএল) খেলে সবাইকে বিস্মিত করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। নির্দিষ্ট কারো উপর অতি-নির্ভর না হয়ে দলগত পারফরম্যান্সের জোরে সাফল্য পেয়েছিল তাঁরা। এবারও দলটি হেঁটেছে একই পথে, বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটার কেনার ক্ষেত্রে বড় নাম নয় বরং টিম কম্বিনেশনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
তাই তো সিলেটের তাঁদের সব বিদেশি তারকাকেই টুর্নামেন্টের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই পাবে। আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর তরুণ ব্যাটারদের মধ্যে নিঃসন্দেহে বিশ্ব মানের; তাওহীদ হৃদয়ের শূণ্যতা পূরণের জন্যই সম্ভবত তাঁকে দলে নিয়েছে মাশরাফি মর্তুজার দল। বিপিএল শুরু হওয়ার আগেই তিনি যোগ দিবেন ক্যাম্পে, থাকবেন শেষপর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার বেন কাটিং বিগ ব্যাশ খেলে উড়াল দিবেন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। বিপিএলের শুরু থেকেই খেলবেন তিনি, এছাড়া অলরাউন্ডার বেনি হাওয়েল ও সামিত প্যাটেল এবং লেগ স্পিনার দুষান হেমন্তকেও প্রথম ম্যাচ থেকে পাবে সিলেটের ফ্রাঞ্চাইজি।
এই আসরে জিম্বাবুয়ের দুই তারকা রায়ান বার্ল আর রিচার্ড নাগার্ভাকে দলে ভিড়িয়েছিল তাঁরা। এই দুইজনকে অবশ্য শুরু থেকে পাওয়া যাবে না, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে তারপর আসবেন। ধারণা করা যাচ্ছে, ১৯ জানুয়ারি বার্ল-নাগার্ভা পৌঁছাবেন, এক্ষেত্রে একটি বা দুইটি ম্যাচ মিস হতে পারে তাঁদের।
ইংল্যান্ডের জর্জ স্ক্রিম ‘শ-কে ড্রাফট থেকে বেছে নিলেও তাঁর সার্ভিস পাবে না স্ট্রাইকার্স বাহিনী। এই ইংলিশ ম্যানের পরিবর্তে দলটি তাই বেছে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে। ভিনদেশী ফ্রাঞ্চাইজিতে খুব একটা দেখা যায়নি তাঁকে, আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি লিগ খেলতে দেশের বাইরে পা রাখবেন তিনি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, রংপুর রাইডার্স কিংবা ফরচুন বরিশাল – তিনটিই ফ্রাঞ্চাইজি একাধিক তারকাকে দলে জায়গা দিয়েছেন যারা আসলে খুব বেশি ম্যাচ খেলবেন না। অন্যান্য লিগের ফাঁকফোঁকর গলে কয়েক ম্যাচের জন্য আসবেন তাঁরা। ফলে টিমের ভারসাম্য ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে ম্যানেজম্যান্টের জন্য – সিলেট সেই ভুলটা করেনি। এমনকি পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) থাকায় সেই দেশের ক্রিকেটারদেরও এড়িয়ে গিয়েছে তাঁরা।