নওয়াজ-শানাকার যুগলবন্দীতে খুলনার স্বস্তি

দুজনেই দলের সাথে যোগ দিয়েছেন ম্যাচের আগে; কিন্তু তাঁদের ওপর ভরসা করতে বিলম্ব করেনি খুলনা টাইগার্সের টিম ম্যানেজন্যান্ট। তাই তো প্রথম সুযোগেই একাদশে জায়গা পান তাঁরা, আর ভরসার প্রতিদান দেন বাইশ গজে – বলছি দুই অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা এবং মোহাম্মদ নওয়াজের কথা।

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুজন যখন ক্রিজে এক হন খুলনার স্কোরবোর্ডে তখন ৬৪ রানে চার উইকেট। ইনিংসের সেসময় বাকি ছিল মাত্র দশ ওভার, সেখান থেকে খুলনাকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে দারুণ কিছু করতেই হতো তাঁদের।

সেটাই করেছেন নওয়াজরা; এই পাক তারকার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৪ বলে ৫৫ রান আর শানাকা ৪০ রান যোগ করেছেন বোর্ডে। সবমিলিয়ে দুজনে গড়েছেন ৭৭ রানের জুটি, আর সেজন্য খরচ করেছেন মোটে ৫৩ বল।

এভিন লুইসের বিদায়ের পর বাইশ গজে মিলিত হয়েছিলেন তাঁরা। শুরুর দিকে রয়ে সয়েই খেলেছিলেন, প্রথম পাঁচ ওভারে স্রেফ দুইটি বাউন্ডারি আসে এই জুটি থেকে। কিন্তু এরপরই নড়ে চড়ে বসেন ব্যাটাররা, রিপন মন্ডলের এক ওভারেই ১৮ রান আসে। এরপর ১৭ এবং ১৮তম ওভার থেকে মোট ২৮ রান সংগ্রহ করেন দুজনে।

ডেথ ওভারে স্লগ করতে গিয়ে সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক আউট হলেও তাই প্রত্যাশিত রান করতে সক্ষম হয় এনামুল হক বিজয়ের দল। বল হাতেও অবদান রেখেছেন তাঁরা। ব্রেন্ডন কিং ও শামীম হোসেনকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন বাঁ-হাতি অফ স্পিনার, অন্যদিকে মিডিয়াম পেসে রনি তালুকদারের উইকেট শিকার করেছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার।

বলতে গেলে, দুই ক্রিকেটারের কল্যাণেই রংপুরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পেরেছে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিরা। ব্যাট হাতে তাঁদের প্রতিরোধ ম্যাচের চিত্রপট বদলে দিয়েছে; সাকিব, আজমতউল্লাহর মত আন্তর্জাতিক মানের বোলারদের সামলে যেভাবে দ্রুত রান তুলেছেন সেটা সত্যিই প্রশংসার।

খুলনা টাইগার্সের ড্রেসিংরুমে এখন তারকার মিলন মেলা। দেশি বিদেশি সেরা ক্রিকেটাররা আছেন দলটির শিবিরে, তবে এদের মধ্য থেকে নিজেকে আলাদা করতে পেরেছেন শানাকা আর নওয়াজ। তাঁরা যে যেকোনো পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিতে জানেন সেটাই প্রমাণ করলেন এই ম্যাচে দিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link