নিজ দেশের বাইরের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে গেলেই নিজেদের ক্রিকেট বোর্ডের অনাপত্তিপত্র নিতে হয় ক্রিকেটারদের। এ নিয়ে বোর্ডের সাথে ক্রিকেটারদের দূরত্বও সৃষ্টি হয় মাঝে মধ্যেই।
তবে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাথে এই ইস্যুতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দূরত্বই ইদানিং বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। এই যেমন এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার জন্য ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ হারিসকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি পাকিস্তান।
আবার বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ঠিকই এনওসি পেয়েছেন। মূলত পিএসএলের বাইরে সর্বোচ্চ দুটি বিদেশি লিগ খেলার অনুমতি মেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। এ নিয়ে অনেকবারই প্রকাশ্যে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বাবর-শাহীনরা।
তবে সেই অসন্তুষ্টির মাত্রা এবার আরো বাড়তে যাচ্ছে। মূল ঘটনা হচ্ছে, এই মুহূর্তে একই সাথে চলছে আইএলটি-২০ ও বিপিএল। এ দুটি টুর্নামেন্টে খেলছেন অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। কিন্তু পিসিবির বেঁধে দেওয়া ৭ ফেব্রুয়ারির মাঝেই টুর্নামেন্ট ছেড়ে পাকিস্তানে ফিরতে হবে তাদের।
তবে, এর বিপরীতে এনওসির মেয়াদ বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রিকেটার। কিন্তু পিসিবি তাদের সিদ্ধান্তেই এখন পর্যন্ত অটল রয়েছে। পিসিবির এ নির্দেশ শুধু চুক্তিভূক্ত ক্রিকেটারই নয়, যে কোনো পাকিস্তানি ক্রিকেটারকেই এই সময়ের মধ্যে ফিরে আসতে হবে।
মূলত আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পিএসএল। আর তাঁর আগেই সকল পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে একসাথে পেতে চাইছে বোর্ড। যদিও জানা গেছে, কিছু ক্রিকেটার আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আর একজন ক্রিকেটার ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খেলার অনুমতি পেয়েছে।
তবে মূল আপত্তিটা তুলেছে চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা। চুক্তির বাইরে থাকা অনেক ক্রিকেটারই মনে করছেন, তাদের দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার ব্যাপারে স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন।
যেমন ভারতের ক্রিকেটারদের বাইরের লিগ খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা ঠিকই অন্যান্য দেশের লিগে খেলতে পারেন। তবে এই নিয়ম আবার পিসিবির বেলায় আলাদা। সব মিলিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা ইস্যুতে পিসিবির বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তানের সিংহভাগ ক্রিকেটার।