প্রথম চার ম্যাচে চার জয় পাওয়া খুলনা টাইগার্স এবার টানা দুই পরাজয়ের স্বাদ পেল। দলটির ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেননি আমের জামাল, ইনফর্ম এভিন লুইস সহ পাঁচজন ব্যাটারকে একাই প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন তিনি। অধিনায়কের লিটন দাসের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর তাঁর এমন বোলিংয়ে বড় জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার দুই ওপেনারের শুরুটা ছিল সাবধানী। বিশেষ করে মোহাম্মদ রিজওয়ান ছিলেন স্বভাবসুলভ ওয়ানডে মেজাজে, অন্যপ্রান্তে লিটন অবশ্য ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন। দুজনের ভিন্নধর্মী এপ্রোচে নয় ওভারে ৬৭ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে, কিন্তু দশম ওভারে ৩০ বলে ৪৫ রান করা লিটন আর ২৮ বলে ২১ রানের মাথায় রিজওয়ানকে ফেরান নাসুম।
এরপর উইকেট না হারালেও রানের গতি কমে আসে দলটির; উইল জ্যাকস, তাওহীদ হৃদয়রা নিয়মিত বাউন্ডারি আদায় করতে ব্যর্থ হন। ফলে মাঝের ১০ থেকে ১৮, এই আট ওভারে মাত্র ৫২ রান আসে। যদিও ডেথ ওভারে জাকের আলী কার্যকরী ক্যামিও খেলেছেন।
শেষ পর্যন্ত তাঁর ৮ বলে ১৮ রানের কল্যাণে ১৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বোলারদের মাঝে নাসুম, ফাহিম আশরাফরা দারুণ ইকোনমিক্যাল ছিলেন।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকেও লাভ হয়নি খুলনার, আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে ১৯ রান করে উইকেট দিয়ে আসেন অধিনায়ক বিজয়। তারপরই যেন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে সবকিছু; তিন ও চার নম্বরে নামা আফিফ হোসেন এবং আকবর আলী দুজনে আউট হন ব্যক্তিগত পাঁচ রানে। আরেক তরুণ পারভেজ ইমন ফিরে যান কোন রান না করেই।
একপ্রান্ত আগলে লড়াই করতে চেয়েছিলেন এভিন লুইস, কিন্তু তাঁকেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি আমের জামাল। ৪৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা খুলনাকে পথ দেখানোর জন্য এদিন আর কেউ আসেননি; মোহাম্মদ নওয়াজ আউট হন ৭ রানে, আর ফাহিম করেন ১৩ বলে ১৩ রান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ওয়াসিম জুনিয়রের ২৩ রান, শেষ পর্যন্ত তাঁর এই ব্যাটিংয়ের কারণে কোনক্রমে শতরানের গণ্ডি পেরুতে সক্ষম হয় টিম টাইগার্স, আর এর মধ্য দিয়ে ৩৪ রানে হারে তাঁরা।