দীর্ঘদিন হলো জাতীয় দলের নির্বাচক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমন। এই দুজনের সাথে জাতীয় দলের তৃতীয় নির্বাচক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক। নির্বাচক কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু রাজ্জাককে শুভেচ্ছা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন এখানেও সফল হবেন রাজ্জাক।
ক্যারিয়ারে রাজ্জাক টেস্ট খেলেছেন মাত্র ১৩ টি। ১৩ টেস্টে ২৮ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। আর ৩৪ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে ৪৪ উইকেট। তবে ওয়ানডেতে এক সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন এই স্পিনার। ওয়ানডেতে ১৫৩ ম্যাচে শিকার করেছেন ২০৭ উইকেট। প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও ৬৩৪ উইকেট রয়েছে রাজ্জাকের ঝুলিতে।
মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মনে করেন রাজ্জাক খেলোয়াড়ি জীবনে বল হাতে যেমন সাফল্য পেয়েছেন তেমনি নির্বাচক হিসাবেও সফল হবেন। দ্বিতীয় মেয়াদে জাতীয় দলের নির্বাচক হিসাবে রয়েছেন নান্নু ও বাশার। নান্নু জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করবেন রাজ্জাকের সাথে।
নান্নু বলেন, ‘অবশ্যই বেস্ট উইশেস থাকবে। আমরা যেভাবে কাজ করছি আমাদের সাথে কাজ করবে। আমাদের অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করতে পারবো। আমরা দুজন অনেকদিন ধরে কাজ করছি। এই অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগানো যাবে। ওর খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারও অনেক সাকসেসফুল। আমি মনে করি নির্বাচক হিসেবেও ও (রাজ্জাক) সফল হবে ইন শাহ্ আল্লাহ।’
ঘরোয়া ক্রিকেট, বয়স ভিত্তিক দল, এইচপি দল ও জাতীয় দল সব কিছুর উপর নজর রাখতে হতো এই দুই নির্বাচককে। দুজনের পক্ষে কাজটা অনেক সময়ই কঠিন হয়ে যেতো। নান্নু জানিয়েছেন রাজ্জাক যুক্ত হওয়াতে তাদের কাজ এখন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এমনকি আলোচনা করার জন্যও তিন জন ভালো হয়।
প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘সব সময় তো আলোচনার মাধ্যমেই দল গঠন করা অবশ্যই ভালো, একটা ভালো দিক। কারণ আলোচনা যদি না থাকে। তিনজন আছে।(নির্বাচকদের) অনেক ক্রিকেট ফলো করতে হয়। এখানে কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে, এজন্য তিনজন থাকাটা জরুরী।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার দীর্ঘ ১০ মাস পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সভায় বাংলাদেশ দলের নতুন নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এই স্পিনারকে। নির্বাচক হিসাবে নিয়োগ পাওয়া রাজ্জাককে সব ধরণের ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েই নতুন দায়িত্ব নিতে হবে।