অন ফিল্ড আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত তৃতীয় আম্পায়ার নাকোচ করে দেওয়াকে সহজভাবে নেয়নি শ্রীলঙ্কা দল। এই ইস্যু নিয়ে তাঁরা রীতিমত আইসিসির দুয়ারে যাবে বলেই জানা গেছে।
দ্বিতীয় জীবন পেয়ে সৌম্য অবশ্য বড় কিছু করতে পারেননি। ইনিংসে নিজের বাকি ১২ টি বলে করেন ১২ রান। এটা ম্যাচের ফলাফলে বড় কোনো ভূমিকা রাখেনি।
এমন সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি শ্রীলঙ্কা! ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ বলেছেন তারা সৌম্যর আউটের ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখবেন।
তিনি বলেন, ‘অন ফিল্ড আম্পায়ার এটি আউট দিয়েছে। আমি নিশ্চিত টিভি আম্পায়ারের সাধারণত পরিষ্কার প্রমাণ থাকতে হয়, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দিতে। এটা পরিষ্কার সেখানে স্পাইক ছিল। আমরা বড় পর্দায় তা দেখেছি। আমরা হয়ত বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ রেফারির কাছে যাব, দেখতে কী হয়েছিল আসলে। আমাদের স্ক্রিনে থাকা ফুটেজ আসলে যথেষ্ট না কিছু বলার জন্য। অন ফিল্ড আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দিতে নিশ্চয়ই টিভি আম্পায়ারের কাছেও প্রমাণ থাকবে।’
অভিযোগ নিয়ে প্রথমে ম্যাচ রেফারি এরপর আইসিসির কাছে যাবে শ্রীলঙ্কা। তবে, বাস্তবতা হল – এসব ইস্যুতে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির করার তেমন কিছ নেই। নাভিদ নেওয়াজ অবশ্য জোর দিয়েই বলেন, ‘আমরা আইসিসি ম্যাচ রেফারির কাছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানাব।’
ঘটনার সূত্রপাত বাংলাদেশের ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে। বিনুরা ফার্নান্দোর ডেলিভারিটা ব্যাটে-বলে টাইমিং হয়নি সৌম্যর। ব্যাটের সাথে বলের সংঘর্ষের শব্দও পাওয়া যায়। বর সোজা চলে যায় উইকেট রক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে। উইকেট মাইকে একটা স্পষ্ট শব্দ শোনা যায় বলেই আম্পায়ার গাজী সোহেল আঙুল তুলে দিতে দ্বিধা করেননি।
কিন্তু, সৌম্য ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। তিনি রিভিউ নেন। জটিলতাটা এখানেই। আলট্রা এজে স্পাইক দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু সেটা বল ব্যাট ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পর। তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলও তখন বলছিলেন, ব্যাট ও বলের মধ্যে আলো চলাচলের মত ফাঁক আছে।
তাই, ফিরিয়ে আনা হয় সৌম্যকে। কিন্তু, তাহলে স্ট্যাম্প মাইকে যে শব্দটা শোনা গেল – সেটা কি ছিল? আবার আলট্রা এজের স্পাইকটাই বা কিসের? লঙ্কানরা নিশ্চয়ই সেই প্রশ্নটাই করছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার সৈকত ও গাজী সোহেলকে।