ওল্ড ইজ গোল্ড, গোল্ড ইজ ধাওয়ান

ভারতীয় দলে এখন তিনি ব্রাত্য, তরুণদের ভিড়ে তাঁকে আর মনে রাখেনি কেউই। রোহিত শর্মার সাথে ইনিংস শুরু করতে এখন আর তাঁকে ডাকা হয় না। তবু নিয়ম করে পারফরম করেন শিখর ধাওয়ান; ঝড় তোলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। সবশেষ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেললেন ৫০ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।

এদিন ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন এই বাঁ-হাতি। চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন তিনি, মনিমারান সিদ্ধার্থের এক ওভারেই আদায় করেছেন ১৫ রান। পাওয়ার প্লে যখন শেষ হয় তখন তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ চল্লিশের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের পূর্ণ ফায়দা তুলেছেন এই ব্যাটার।

হাফসেঞ্চুরিও করতে দেরী হয়নি তাঁর, বিশাল এক ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩০ বলেই পঞ্চাশের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্য তাঁকে ছাড় দেয়নি, অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা তাই মেতে উঠেছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।

একে একে জনি বেয়ারস্টো, প্রভুসিমরান, জীতেশ শর্মা প্যাভিলিয়নে ফিরলে খাদের কিনারায় পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। আস্কিং রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক নিজেই। ফলে দুর্দান্ত একটা ইনিংসের সমাপ্তি হয় বেদনাকে সঙ্গী করেই।

জাতীয় দলে সবশেষ ২০২২ সালে খেলেছিলেন শিখর ধাওয়ান, অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলেন আরো আগ থেকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর দলে আসার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। তবু ক্রিকেটকে ভালবাসেন তিনি, তাই তো আইপিএলকে বেছে নেন ভালবাসা প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে। ধারাবাহিকভাবে পারফরম করেন প্রতিবার, উজার করে দেন নিজের সর্বস্ব।

গত দুই আসরেও এই তারকা ছিলেন অন্যতম সেরা ব্যাটার। ২০২২ সালে ৩৮.৩৩ গড় আর ১২২.৬৭ স্ট্রাইক রেটে করেছিলেন ৪৬০ রান। পরের বছর আরো ক্ষুরধার তিনি, সেবার ১৪২ স্ট্রাইক রেট ও চল্লিশের বেশি গড়ে ৩৭৩ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। চলতি আইপিএলেও নিশ্চয়ই তাঁকে এমন রূপে দেখতে চাইবে পাঞ্জাব কিংস।

যদিও, শেষটা রাঙাতে পারেননি। ম্যাচটা জিততে পারেনি পাঞ্জাব। ওল্ড ইজ গোল্ড কিংবা ট্র্যাজিক হিরো – চাইলে যে কোনো কিছুই বলা যায় তাঁকে। তবে, হিরো তিনি বটেই, ব্যক্তিগত গ্লানি উড়িয়ে তিনি মাঠে পারফরম করতে জানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link