বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া: ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি?

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলেছে। অস্বীকার করার উপায় নেই। ফিফথ ডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করা অসম্ভব, এটা আমি মনে করি ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দেশও কখনও করতে পারেনি।কিন্তু ওরা করেছে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপের আগে আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড। একই সময় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছে অস্ট্রেলিয়াও।

ধারণা করা হচ্ছে বিশ্বকাপের ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে পারে বাংলাদেশ। তবে পাপন জানিয়েছেন দুটি দল আসবে এটাই শুধু চূড়ান্ত হয়েছে; চেস্টা করে দেখবেন ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করা যায় কিনা।

এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান সেপ্টেম্বর আসবে আমাদের এখানে খেলতে, এর আগে নিউজিল্যান্ড আসবে। এখন আমরা কথা বলে চেষ্টা করে দেখতে পারি একটা ট্রাই-ন্যাশন করা যায় কি না। কিন্তু ওরা দুটা টিম আসবে এখন পর্যন্ত এতটুকু আমরা বলতে পারি।’

আপাতত অবশ্য চলমান সিরিজ নিয়ে ভাবনা বেশী বোর্ডের।

ওয়ানডে সিরিজে খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সহজেই হোয়াটওয়াশ করলেও প্রথম টেস্টে অপ্রত্যাশিত ভাবে হেরে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যেমন জানিয়েছেন এমন হার কল্পনাও করেনি তাঁরা; তেমনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।

বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন একটা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ক্যারিবিয়ানরা। তবে এটাতে নিরুৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। পাপন স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের থেকে ভালো খেলেই জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

তিনি বলেন, ‘ এখন এখানে ডিমোটিভেট হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রথম কথা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলেছে। অস্বীকার করার উপায় নেই। ফিফথ ডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করা অসম্ভব, এটা আমি মনে করি ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দেশও কখনও করতে পারেনি।কিন্তু ওরা করেছে।’

৩৯৫ রানের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এক হাতে ম্যাচ জিতিয়েছেন কাইল মায়ার্স। মায়ার্সের অপরাজিত ২১০ রানের সাথে বোনারের ৮৬ রানও জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এই দুজনের ২১৬ রানের জুটিতেই ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় সফরকারীরা। কিন্তু ইনিংসের শুরুতে জীবন পেয়েছিলেন দুজনই। এছাড়াও অসংখ্য সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। পাপন মনে করেন সুযোগ হাতছাড়া করেই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু এর সাথে এটাও সত্যি যে আমরা যে পরিমাণ সুযোগ নষ্ট করছি, সে পরিমাণ সুযোগ নষ্ট করা যায় না। নষ্ট করলে যে হাত ছাড়া হয়ে যায় ম্যাচ, এটা হলো সবচেয়ে বড় বিষয়। এবং আমি মনে করি যে এ বিষয়টাতে আমাদের আরো নজর দিতে হবে।’

ম্যাচ শেষে পরাজয়ের কারণ হিসাবে অধিনায়ক মমিনুল হক যুক্তি দিয়েছিলেন চার দিনের প্রস্তুতি ছাড়া খেলতে নেমেই এমন দশা হয়েছে তাদের। পাপন জানিয়েছেন করোনার জন্যই প্রস্তুতিতে ঘাঠতি ছিলো তাদের। তবে বোর্ড সভাপতি বিশ্বাস করেন প্রস্তুতি নিয়ে সামনের বছর ভালো অবস্থানে যাবে দল।

পাপন বলেন, ‘টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিব কি…? আমরা বলেছিলাম যে সামনের বছরটা আমরা টেস্টের জন্য সবচেয়ে বেশি কনসার্টটেন্ট করব। টেস্টে যাতে ইম্প্রুভমেন্ট হয়। ওই বছরটা তো করোনার জন্য আটকা। তাছাড়া হঠাৎ করেই তো আর হবে না। এক বছর পিছিয়ে গেছে।আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই এক বছর টেস্টে জন্য আরও অনেক আমরা ভালো জায়গায় যেতে পারব।’

দলের এমন পরাজয়ের পর সমালোচনা হয়েছে মমিনুল হকের অধিনায়কত্ব নিয়েও। অনেকেই মনে করেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার থাকতে বাংলাদেশের অধিনায়ক কেনো মমিনুল হক। পাপন জানিয়েছেন সিরিজ চলাকালীন এসব আলোচনা করা উচিত না। বিসিবি সভাপতি মনে করেন এক ম্যাচের পারফরমেন্স দেখে সিদ্বান্ত নেওয়া ঠিকও না।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এসব নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না, কারণ একটা সিরিজ চলছে। তাছাড়া আমার মনে হয় না, একটা খেলা দেখে একটা ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে এ রকমের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। একটা জিনিস মনে রাখবেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমকে কিন্তু আমরা ওডিআইতে হোয়াইটওয়াশ করেছি মাত্র। কাজেই ওরা তো জিততেই পারে টেস্ট একটা। সেকেন্ড টেস্টে আমরা যাতে ভালো খেলি সেটাই হচ্ছে বড় কথা।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...