নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য দল ঘোষণা করার কথা ছিল বুধবার। তবে, সেটা পিছিয়ে শুক্রবার করা হয়েছে। বুধবারেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির বাসভবনে এক জরুরী বৈঠক করেন নির্বাচক প্যানেল ও শীর্ষ বোর্ড কর্মকর্তারা। সেখানে পরিকল্পনা বিষয়ক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, কাউকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পক্ষে নয় বোর্ড।
খেলোয়াড়দের করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচীর মাঝেই সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ আসে। সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘ কোন কোন সমস্যা না,বেসিক্যালি আমি জানতে চাচ্ছিলাম যে সিদ্ধান্ত প্ল্যানিং এবং স্ট্র্যাটেজিটা যে হচ্ছে এটা আমাদের আগের সাথে আমি মিল পাচ্ছি না। সো আমি জানতে চাচ্ছিলাম কে প্লান করছে, কে স্ট্র্যাটেজি করছে, কেন করছে এই প্রশ্নগুলো নিয়া আলাপ হয়েছে। তার আগে জানতে চাইছি সমস্যার কথা বললে ওরা বলে এই সমস্যা, তাহলে এমন হচ্ছে কেন। মানে আগে তো সব কিছু তাদের উপর ছাপিয়ে দেওয়া হতো, এখন তো নিজেরা নিচ্ছে সমস্যা তো হওয়ার কথা না। এখানটায় দেখতে গিয়ে অনেক কিছুই দেখা হচ্ছে। যেমন আমি, যারা যেসমস্ত জায়গায় আছেন তাদেরকে বলা হয়েছে যে ফর এক্সামপল অপরেশনে যে আছেন, সিলেকশনে যে আছেন তাদের সঙ্গে কাল বসা হয়েছে। যে প্রত্যেকের যে দায়িত্ব, ওনাদের দায়িত্ব খালি একটা কাজ করে দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।’
দল আর বোর্ডের সাথে সংযোগটা আরো দৃঢ় করতে চান সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ওনাদের কিভাবে আরো বেশি ইনভলভ থাকতে হবে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। ইনফরমেশন গ্যাপ এতো হয়েছে কেন সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। যে এটা থেকে মিনিমাইজ করা, যে এটাতো কখনো হয়নি। ফর এক্সামপল আগে খালেদ মাহমুদ সুজন আমাদের ম্যানেজার ছিল, হি ওয়াজ দ্য লিংক বিটুইন টিম অ্যান্ড দ্য বোর্ড, সো এখানে প্লেয়ারদের সাথে ছিল কোচের সাথে কি হচ্ছে না হচ্ছে আমরা সারাক্ষণ জানতে পারতাম। আমিও অন্তত জানতে পারতাম কি হচ্ছে না হচ্ছে। এখন কিন্তু আমি জানি না, মাঠে নামার পরে জানতে পারি। সো এই যে একটা গ্যাপ এটা তো আমাদের মাঝে বিরাট কমিউনিকেশন গ্যাপ হচ্ছে। কেন হচ্ছে আমিও তো জানতে চাচ্ছি আর যারে জিজ্ঞেস করা হয়, সেই বলতে পারে না, তাহলে উত্তর দিবে টা কে!’
এই কমিউনিকেশন গ্যাপ নিয়ে বিরক্ত বোর্ড সভাপতি। তিনি বলেন, ‘সো দেয়ার ইজ সাম কমিউনিকেশান গ্যাপ। দেয়ার আর সাম ইসুজ, দ্য প্লানিং অ্যান্ড স্ট্যাটিজিজ, যেটা আমি পার্সোনালি আগের থেকে মনে করতাম যে এগুলো প্রত্যাকটা ভুল কিন্তু প্রথমবার যখন আফগানিস্তানের সাথে হয়েছে তখন তারা সবাই ধরে নিয়েছিলো যে এটা এক্সিডেন্ট! হঠাৎ হয়ে গেছে। কিন্তু এইবার দুটো ম্যাচ খেলার পরে এখন সকলেই বুঝতে পারছে আসলেই দেয়ার ইজ সামথিং রঙ, আগে যদি আপনি বুঝতেই না চান, আপনি যদি মনেই না করেন যে আপনার কোনো ভুল হচ্ছে, তাহলে তো আপনার সাথে কথা বলে লাভ নেই। আমি আপনাদেরকে খালি একটা কথাই বলতে পারি, এই সমস্যা সমাধান কোনো কঠিন কোনো ব্যাপার না, এটা সহজ,কিন্তু সবাই যাতে এই সমস্যাটাতে অ্যাগ্রি করে, যদি একসাথে সবাই অ্যাগ্রি করে তাহলেই তো সমাধানের জন্য কাজ করতে হবে। জোর করে ছাপিয়ে দেয়া যায় না। এই প্রেসেসটাই হচ্ছে আমার দারণা কয়েক মাসের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।’
কাউকে দোষ দিতে নয়, বরং সমস্যার সমাধান চান বোর্ড সভাপতি। তিন বলেন, ‘মাঠে কে নামবে, কে কত নম্বরে খেলবে, এগুলো তো আগে জানতাম। এখন তো জানি না, নামার পরই দেখছি। এটা তো আমি কয়েকটা খেলায় আপনাদেরকে টিভিতে বলেছি। কারণ আমাকে যেটা বলা হয় তা হয় নাই। আমি যদি জিজ্ঞেস করি বললো এটা, শুনেন আমি আপনাকে বলি, আমি বলতে চাচ্ছি, এতো কথা বলার তো দরকার নেই। আপনার তো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে চাচ্ছেন, আমি কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে আসি নাই। আই এম ট্রাইং টু সলভ দ্য প্রবলেম।’