মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ড্রেসিংরুমে ভাঙ্গনের সুর জেগেছে। হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই এমন করুণ সুরের বাজনা বাজতে শুরু হয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) অন্যতম সফল ফ্রাঞ্চাইজির ক্রিকেটাররা এখন দুই ভাগে ভাগ হয়ে আছেন; কেউ চাচ্ছেন রোহিত শর্মার অধীনে খেলতে, আবার কেউ হার্দিককেই মানছেন নেতা হিসেবে।
রোহিতের পক্ষে রয়েছেন দলের অপেক্ষাকৃত পুরনো সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে জাসপ্রিত বুমরাহ, সুরিয়াকুমার যাদব, পিযূষ চাওলার নাম। অন্যদিকে ঈশাণ কিষাণের অবস্থান হার্দিকের পক্ষে; এছাড়া টিম ম্যানেজম্যান্টের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন তিনি।
কাগজে-কলমে প্রায় ১৫ কোটি রুপির বিনিময়ে গুজরাট টাইটান্স থেকে এই অলরাউন্ডারকে পুনরায় নিজেদের শিবিরে এনেছিল মুম্বাই। আলোচিত এ দলবদলের রেশ না কাটতেই এতদিনের কাপ্তান রোহিতকে সরিয়ে তাঁর হাতে নেতৃত্বের ভার তুলে দেয় দলটি।
এতেই বাঁধে বিপত্তি; হিটম্যানের এমন আকস্মিক বিদায় মানতে পারেননি কেউই। আবার বুমরাহ, সুরিয়াকুমারের মত যারা অনুগত ছিলের দলের প্রতি তাঁরা বাইরে থেকে এসে কারো অধিনায়ক হয়ে যাওয়া মানতে পারেননি। কি জানি, তাঁরা হয়তো মনে মনে আশা করছিলেন পরবর্তী অধিনায়ক তাঁদের মধ্য থেকে কেউ হবেন; সেই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার কষ্ট লুকিয়ে খেলতে হচ্ছে তাঁদের।
ড্রেসিংরুমের বিভাজনের প্রভাব মাঠের খেলাতেও পড়েছে। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে দুইটিতেই হেরেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই দুই ম্যাচেই ট্যাকটিক্যাল ভুল করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া; তাঁর বোলিং চেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে তো ব্যাটিংয়ের কারণেও সমালোচিত হতে হচ্ছে তাঁকে।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আবেগের তেমন গুরত্ব নেই; টিম ম্যানেজম্যান্ট চাইলে যে কারো জায়গায় যে কাউকেই আনতে পারে। তবে সেটি যেন অন্য ক্রিকেটারদের মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সেদিকে খেয়াল রাখাও তাঁদের দায়িত্ব। কিন্তু এই দায়িত্বের কথা ভুলেই গিয়েছিল মুম্বাই, সেজন্য এখন কড়া মাশুল দিতে হচ্ছে তাঁদের।