সঠিক নেতৃত্ব খুঁজে পাচ্ছেই না পাকিস্তান। চার মাসের ব্যবধানে নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটেছে দুই বার। পাকিস্তানের অধিনায়ক পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া মোটেও ভাল লাগেনি মিসবাহ উল হকের। সমালোচনার মিছিলে এবার তাই সামিল সাবেক এই অধিনায়কও।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সম্প্রতি শাহীন আফ্রিদিকে সাদা বলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজেই ইতি ঘটে শাহীনের নেতৃত্বের। তাঁর পরিবর্তে অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়।
যদিও এর আগে ২০২৩ বিশ্বকাপের ব্যর্থতার দায়ে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল বাবরকে। পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধান কোচের মতে পাকিস্তানের অধিনায়ক পরিবর্তনের পদ্ধতি আগেও ভুল ছিল এবং এখনো ভুলই আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে পিসিবি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
পিসিবি অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়টিকে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যার লক্ষ্য ছিল খেলোয়াড়দের সুস্থতা এবং সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা। বিশেষ করে ফাস্ট বোলারদের দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষার জন্য।
তবে পিসিবির দেয়া এই নড়বড়ে যুক্তি মন গলাতে পারেনি মিসবাহ’র। তাঁর মতে অধিনায়ক পরিবর্তনের এই পদ্ধতি খুবই অপ্রীতিকর, সেই সাথে অসন্তোষজনক। যা দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব ফেলে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের খুবই ভাল মানের খেলোয়াড় আছে। বাবর আজম এবং শাহীন আফ্রিদি উভয়ই পাকিস্তানের সেরা খেলোয়াড়। দল যাতে ভাল ফলাফল করতে পারে আমরা সেই আশাই করি।’
পাকিস্তানের কোচ ইস্যুতেও নিজের মতামত জানান ৪৯ বছর বয়সী পাকিস্তানের সাবেক এই খেলোয়াড়। তিনি বলেন, ‘কোচ স্থানীয় হোক কিংবা বিদেশি সেটা ভাবার আগে, পিসিবির লক্ষ্য রাখা উচিত কোন কোচ দল পরিচালনায় ভাল ভূমিকা রাখতে পারেন।’
মিসবাহ’র মতে দেশি এবং বিদেশি কোচের সংমিশ্রণে কোচিং প্যানেল তৈরি করা উচিত। এতে করে বিদেশি কোচরা স্থানীয় কোচদের থেকে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো জানতে পারবে। অন্যদিকে স্থানীয় কোচরা বিদেশি কোচদের থেকে বিভিন্ন কৌশল আয়ত্ব করতে পারবে।