সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, অন্য সব দলের মত ভারতও চূড়ান্ত স্কোয়াড গুছিয়ে নেয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য উইকেটরক্ষক ব্যাটারের ভূমিকায় কাকে রাখা হবে সেটা নিয়ে ভাবনার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে; ঋষাভ পান্ত, জীতেশ শর্মা, ঈশান কিষাণ রয়েছেন বিবেচনায়। তবে সাঞ্জু স্যামসন বিশ্বকাপের টিকিট না পেলে অন্যায় হবে – কেননা চলতি আইপিএলে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক রূপে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
সবশেষ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ৩৮ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন তিনি; সাত চারের পাশাপাশি দুইটি ছয়ের মারে এই ইনিংস সাজিয়েছেন। তাঁর এমন ব্যাটিংয়েই ১৯৬ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। এ ম্যাচ দিয়ে অধিনায়ক হিসেবে ৫০তম ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়লেন স্যামসন আর অধিনায়ক হিসেবে ৫০তম ম্যাচে তাঁর চেয়ে বেশি রান করতে পারেনি আর কেউ।
এদিন পাওয়ার প্লেতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছিল দলটি, দলীয় রান তখন মাত্র ৪৩। তবে চাপের মুখে ভেঙ্গে পড়েননি দলপতি; রিয়ান পরাগকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন তিনি। প্রথম দিকে দেখেশুনেই খেলেছিলেন, যদিও সময় গড়াতেই বোলারদের শাসন করতে শুরু করে তাঁর ব্যাট।
সতেরোতম ওভারে চার মেরে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ডানহাতি। এরপর আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেন তিনি; একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ডেথ ওভারের ফায়দা তোলেন। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে, তবে তার আগেই কাজের কাজটা করে ফেলেছিলেন।
চলতি আইপিএলে এ নিয়ে তিন নম্বর ফিফটি করলেন রয়্যালস তারকা। মাত্র পাঁচ ইনিংসে তিন অর্ধশতক নিঃসন্দেহে তাঁর ছন্দে থাকার সাক্ষ্য দেয়। আবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন তিনি। এমন ইনফর্ম একজন ব্যাটারকে উপেক্ষা করাটা কঠিন হবে ভারতীয় নির্বাচকদের জন্য।
বিশ্বকাপ স্বপ্নে বিভোর ভারত এবার অন্তত কোন ত্রুটি রাখতে চাইবে না স্কোয়াডে। সব পজিশনেই সেরা ক্রিকেটারকে বেছে নিতে চাইবে তাঁরা, সেক্ষেত্রে সাঞ্জু স্যামসনের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে আইপিএল তো মাত্র শুরু, টুর্নামেন্টের বাকি অংশেও দাপট দেখাতে হবে তাঁকে। তবেই বাকি প্রতিদ্বন্দীদের ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজগামী বিমানে উঠতে পারবেন তিনি।