সর্বশেষ ২০০৬ সালে পাকিস্তানের মাটিতে পা ফেলে ভারতীয় ক্রিকেট দল। তবে, এই দীর্ঘ বিরতির অবসান ঘটতে পারে ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে – এমন স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। কেননা ভারতের ম্যাচগুলোর সম্ভাব্য ভেন্যু পাকিস্তানে রেখেই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সম্প্রতি আইসিসির কাছে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়সূচির প্রস্তাব পাঠায়। যেখানে সবগুলো ম্যাচ পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হওয়া থেকে শুরু করে টুর্নামেন্টে ভারতের অন্তর্ভুক্তি কথা উল্লেখ করা হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম সংস্করণ মাঠে গড়াবে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে। যেখানে আটটি দেশ ওয়ানডে ফরম্যাটে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে।
একটি সংবাদ সম্মেলনে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে বোর্ড ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়সূচী আইসিসির কাছে জমা দিয়েছে বোর্ড। সেখানে সবগুলো ম্যাচ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে নাকভি বলেন, ‘আমরা চাই পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হোক। আমরা ইতিমধ্যে আইসিসির কাছে সূচি জমা দিয়েছি। আইসিসি নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে এসেছিল। তারা আমাদের ব্যবস্থা নিয়ে খুব খুশি।’
সম্প্রতি আইসিসি নিরাপত্তা দল পাকিস্তানের স্টেডিয়াম এবং সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন করেছে। করাচির ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্টেডিয়াম, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন তাঁরা। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ অন্যান্য ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইসিসি।
তবে ভারতের ক্রিকেট দলের পাকিস্তানে আসা না আসা এখনো অনিশ্চিত। কেননা তা নির্ভর করছে ভারতের সরকারের উপর। পাকিস্তানে সফর করতে হলে দ্যা বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াকে (বিসিসিআই) ভারতীয় সরকার থেকে অনুমতি পত্র নিতে হবে। আর বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
বরং বিসিসিআইয়ের সূত্রনুসারে, তাঁরা একটি হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব পরামর্শ দিয়েছেন। যেখানে কিছু ম্যাচ পাকিস্তানের বাইরেও আয়োজন করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। আবার পাকিস্তানের প্রস্তাবের সাথে না মিললে ভেন্যু পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে।
সব বাঁধা উপেক্ষা করে পাকিস্তান এখনো আশাবাদী চ্যাম্পিয়ন ট্রফির সবগুলো ম্যাচই পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হবে। একটি বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি প্রয়োজন। আর পাকিস্তান সেই প্রস্তুতি বেশ ভালভাবেই নিচ্ছে। এখন দেখার বিষয় পাকিস্তানের মাটিতে আবারো নীল-সবুজের লড়াই গড়ায় কিনা।