পাকিস্তানের ‘সমস্যা’ ধরতে পেরেছেন দুই কোচ

দীর্ঘদিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর পাকিস্তান ক্রিকেট খুঁজে পেয়েছে তাঁদের ক্রিকেট কোচ। তাঁরা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কার্স্টেন এবং অস্ট্রেলিয়ার জেসন গিলেস্পি। তাঁরা দু’জনই এখন চান একটি স্থিতিশীল পরিবেশ। মানে, পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার আগেই পাকিস্তানের সমস্যাটা ধরতে পেরেছেন অভিজ্ঞ এই দুই কোচ।

গিলেস্পি এবং কার্স্টেন উভয়ই —  যথাক্রমে টেস্ট এবং সাদা বলের ফরম্যাটের জন্য জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। পাকিস্তান ক্রিকেটের বিশ্বে প্রবেশ করতে প্রস্তুত এই দুই কোচ। পাকিস্তান ক্রিকেটে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অশান্তি বিরাজ করেছে।

জেসন গিলেস্পি পাকিস্তান টেস্ট দল থেকে সেরাটা পাওয়ার জন্য নির্ভর করতে চান সহজ যোগাযোগ এবং স্বচ্ছতার উপর। আবার গ্যারি কার্স্টেনের মতে জাতীয় দলের সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে উন্নতির জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিকতা।

গত দুই থেকে তিন বছরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলনই পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি। কোনো ধরনের ধারাবাহিকতা থেকে অনেক দূরেই অবস্থান করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

গত ১৩ মাসে তিনটি নেতৃত্বের পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। দুটি অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্ব এবং একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যানের পরিবর্তন আনে পাকিস্তান। এই টালমাটাল সময়ে পাকিস্তানের ছিল তিনজন আলাদা আলাদা কোচ এবং তিনজন অধিনায়ক।

দুই মাস আগে পাকিস্তানের সরকার গঠণ করা হয়। পিসিবিতে মহসিন নকভি একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োজিত। যিনি পাকিস্তান ক্রিকেটকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গিলেস্পি এবং কার্স্টেনকে দুই বছরের চুক্তি করেছেন।

তবে পাকিস্তানের সফলতার জন্য গিলেস্পি তাঁদের স্বাধীনতার দিকেই বেশি জোর দিয়েছেন। পিসিবি প্রকাশিত পডকাস্টে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার গিলেস্পি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিটির অংশ হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। আমার পুরো কোচিং ক্যারিয়ারে আমি একজন নির্বাচকের ভূমিকাই পালন করেছি।’

আবার কার্স্টেনের মতে ধারাবাহিকতাই সফলতার উৎস। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ধারাবাহিকতায় বিশ্বাসী। আমরা বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার পেয়েছি। তাঁদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করলে সফলতার স্বাদ পাওয়া সম্ভব।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজই হবে গিলেস্পির প্রথম সুযোগ। আবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে যুক্ত হবে ভারতের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী কোচ কার্স্টেন। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তিনিওই থাকবেন পাকিস্তান ক্রিকেটের কোচের ভুমিকায়। এখন দেখার বিষয় নবাগত কোচদ্বয় পাকিস্তানের ক্রিকেটে কতটা স্থিতিশীলতা আনতে পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link