সায়িম আইয়ুব, ঢিলেঢালা দূর্গের আগ্রাসী যোদ্ধা

বাংলাদেশে যেমন লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তদের প্রতিভাকে বিশেষ চোখে দেখা হয় পাকিস্তানেও তেমনি সায়িম আইয়ুবকে একইভাবে বিচার করা হয়। তাই তো অভিষেকের পর থেকে ধারাবাহিক সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন তিনি – ব্যতিক্রম হয়নি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও; যদিও এবার সুযোগটা কাজে লাগিয়েছেন, ওপেনিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন।

পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে প্রথম লাইমলাইটে এসেছিলেন এই ব্যাটার। গত বছর পাকিস্তানের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর, এরপর একে একে খেলে ফেলেছিলেন ১৭টি ম্যাচ। কিন্তু সবমিলিয়ে করেছিলেন স্রেফ ২১৯ রান, ব্যর্থই বলা চলে। তবে আইরিশদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।

এদিন ২৯ বল খেলে ৪৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন এই তরুণ। ম্যাচের শুরুতে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান যে দারুণভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছিল সেটির কৃতিত্ব কিন্তু তাঁর। চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটিতে ভর করেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছিল বাবর আজমরা।

প্রথম থেকে শেষ – যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন সায়িম দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। আত্মবিশ্বাসী সব শটে বলকে বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন, বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন। একপ্রান্তে বাবর রয়ে সয়ে খেললেও দলের রান রেট কমতে দেননি তিনি। ৫৭ বলে ৮৫ রানের জুটিতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ৩৯ রান।

তবে এই বাঁ-হাতির কাছে প্রত্যাশা আরো অনেক বেশি। সেট হয়ে উইকেট দিয়ে আসা তাই মহাঅপরাধ বটে। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের মত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চল্লিশ রানের গন্ডি পেরুনোর পর বড় রান করা উচিত যেকোনো টপ অর্ডার ব্যাটারেরই।

যদিও তাঁর জন্য এটা ক্যারিয়ারের শুরু কেবল, এসব নিয়ে নিশ্চয়ই কাজ করবেন এই উদীয়মান তারকা। অবশ্য সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে তাঁকে, সেক্ষেত্রে দায়িত্ব বাড়বে তাঁর ওপর; প্রস্তুতি এখন থেকেই নেয়া প্রয়োজন তাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link