শ্বাস নেওয়ার মতও যেন সময় নেই। ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্যে বেশ কঠিন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বটে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শেষ হতে না হতেই নেমে পড়তে হবে বিশ্বকাপ লড়াইয়ে। এমন সংকীর্ণ সময়সূচি নিয়ে তাই বিভক্ত ভারতীয় ক্রিকেট মহল। হারভাজন সিং মনে করেন প্রস্তুতির ঘাটতি থেকে যাবে। অন্যদিকে অনিল কুম্বলের মত পর্যাপ্ত প্রস্তুত হয়েই বিশ্বকাপ খেলতে নামবে ভারত।
বরাবরের মতই ভারত এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। তাইতো দলটিকে ঘিরে পুরো ক্রিকেট দুনিয়াতে থাকে বাড়তি চর্চা। খোদ ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটারদেরও দলকে নিয়ে প্রায়শই দুশ্চিন্তা করতে দেখা যায়। এবারে বিশ্বকাপের আগে স্বল্প প্রস্তুতির সুযোগ নিয়ে তেমন বিরোধ ছড়িয়েছে।
১ জুন মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। সেদিনই বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। এরপরই মূল লড়াইয়ে নেমে পড়বে রোহিত শর্মার দল। অন্যদিকে আইপিএল শেষ হবে মে মাসের ২৬ তারিখ। ফাইনালে খেলা ভারত দলের খেলোয়াড়দের হাতে সময় থাকবে স্রেফ ৫ দিন।
এই ৫ দিনের মধ্যে পৌঁছাতে হবে সুদূর মার্কিন মুলুকে। এরপর বিশ্রাম নিয়ে প্রস্তুত হতে হবে ওয়ার্মআপ ম্যাচের জন্যে। মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার খুব বেশি সময় পাবেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাইতো বেজায় চটেছেন হারভজন সিং। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তিনি নিজের উপদেশও দিয়েছেন বিসিসিআই-কে।
হারভরজন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি তাদের (ভারত) জন্য ৪-৫টি খেলা থাকলে ভাল হত, আমেরিকাতে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মতো শীর্ষ দলের বিরুদ্ধে খেলে কন্ডিশনের সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা হচ্ছে বলে মনে হয় না।’
তিনি বিসিসিআইকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, আপনি যখন বিশ্বকাপ বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের-র মতো টুর্নামেন্ট খেলছেন, তখন দলের সদস্যদের একসঙ্গে ১০-১৫ দিন খেলতে হবে, তবেই তা ভাল হবে।’ হরভজন তাই সন্তুষ্ট নন এমন কঠিন সময়সূচি নিয়ে।
কিন্তু হারভাজানের বক্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে আরেক কিংবদন্তি অনিল কুম্বলেকে। তিনি মনে করেন আইপিএলের থেকে ভাল প্রস্তুতির মঞ্চ আর হতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘এতে কোনো সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি না। আইপিএলে খেলার চেয়ে আপনি বিশ্বকাপের জন্য ভালো প্রস্তুতির মঞ্চ পেতে পারেন না যেখানে আপনি ১৪টি বা ১৫ বা ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। সুতরাং, এই অর্থে, আপনি যে কোনও পরিস্থিতিতে এই টুর্নামেন্টে সত্যিই ভাল প্রস্তুতি নিয়েছেন। সুতরাং, বিশ্বকাপে আপনার খেলা কোথায় যাচ্ছে তা বোঝার একটি ভাল উপায় আইপিএল।’
এখন শেষ অবধি দেখার পালা। আইপিএল সত্যিকার অর্থেই বিশ্ব জয়ের প্রস্তুতির যোগ্য মঞ্চ কি-না, সেটা সময় গড়ালেই জানা যাবে। সময়ের কাছেই রয়েছে সকল প্রশ্নের উত্তর।