চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আবির্ভূত হয়েছিল অন্য রূপে। ট্রাভিস হেড, অভিশেক শর্মাদের বিধ্বংসী পারফর্ম্যান্সের সুবাদে ব্যাটিং পাওয়ার হাউস হয়ে উঠেছিল তাঁরা। তবে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ব্যাটারদের কেউই নয় বরং নায়ক বনে গিয়েছেন একজন স্পিনার – নাম শাহবাজ আহমেদ।
পুরো আসর জুড়ে কোন আলোচনাতেই ছিলেন না তিনি। থাকবেনই বা কিভাবে, বোলিং অলরাউন্ডার হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য কোন স্পেল কিংবা ইনিংস দেখা যায়নি তাঁর কাছ থেকে। তবু টিম ম্যানেজম্যান্ট আস্থা হারায়নি, একের পর এক ম্যাচে একাদশে রেখেছে তাঁকে। শেষমেশ সেটারই প্রতিদান পাওয়া গেলে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে।
রাজস্থানের বিপক্ষে চার ওভার হাত ঘুরিয়ে এই স্পিনার শিকার করেছেন তিন উইকেট, বিনিময়ে খরচ করেছেন মাত্র ২৩ রান। তাঁর এমন পারফরম্যান্সের কারণেই ধ্বসে গিয়েছিল সাঞ্জু স্যামসনদের মিডল অর্ডার। সেই সাথে ত্বরান্বিত হয়েছিল হায়দ্রাবাদের ফাইনাল যাত্রা। এর মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের পর আবারও শিরোপার শেষ লড়াইয়ে নামার সুযোগ পেল তাঁরা।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে শাহবাজ যখন বোলিংয়ে আসেন তখন ভাল অবস্থানেই ছিল রাজস্থান, যশস্বী জয়সওয়ালের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল তাঁরা। কিন্তু তিনি পঞ্চম বলে আউটের ফাঁদে ফেলেন জয়সওয়ালকে, ফলে ব্রেক থ্রু পেয়ে যায় প্যাট কামিন্সরা। পরের ওভারে কোন উইকেট না পেলেও তাঁর কিপ্টে বোলিং অব্যাহত থাকে।
তবে এই বাঁ-হাতি সবচেয়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন নিজের তৃতীয় ওভারে। স্রেফ এক রান খরচায় দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেন তিনি। ইনফর্ম রিয়ান পরাগ আর অভিজ্ঞ রবিচন্দন অশ্বিনকে প্যাভিলিয়নে ফেরানোর মধ্য দিয়ে ম্যাচের আধিপত্য নিজেদের করে নেন। অন্যপ্রান্তে অভিষেক শর্মাও দারুণ বোলিং করেছিলেন বটে।
আপাতত সানরাইজার্স পরিবারের মাথায় ঘুরছে ফাইনালের ভাবনা, সেই ফাইনালে হেড, কামিন্সদের মতই পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন শাহবাজ আহমেদ। গুরবাজ, শ্রেয়াস, রাসেলের মত ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে তিনি হয়ে উঠতে পারেন তুরুপের তাস।