ঘুরেফিরে পরিচিত সেই দৃশ্য, পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসছেন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁরা যখন ওপেনিংয়ে আসেন তখনি বোঝা গিয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনা। সেটাই হয়েছে, বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওপেনিংয়েই জুটি গড়েছেন এই দু’জন; যদিও পরিকল্পনা কাজে লাগেনি এবার আর।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এদিন মাত্র আট বল স্থায়ী হতে পেরেছিলেন। সৌরভ নেত্রাভালকারের দারুণ এক আউটসুইংয়ে রিজওয়ান আউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছিল মোটে নয় রান। অর্থাৎ দলকে ভাল শুরু এনে দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে মাঠ নামলেও উল্টো বিপদ ডেকে এনেছেন।
ইন্টেন্ট, অ্যাপ্রোচের সুর তুলে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটির ইতি ঘটানো হয়। এরই মাঝে আবার সায়িম আইয়ুবকে টপ অর্ডারে সুযোগ দেয়া হয়েছিল বিশ্বকাপের ভাবনা মাথায় রেখে, প্রত্যাশা ছিল দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিবেন।
বড় রান নয় বরং তাঁর ব্যাটে ঝড় দেখতে চেয়েছিল সবাই। তবে সেসব স্বপ্নের কিছুই পূরণ হয়নি তাঁকে দিয়ে। যদিও তিনি পূর্ণ মাত্রায় সুযোগ পেয়েছেন কি না সেই প্রশ্ন তোলা যায়।
বিশ্বকাপের আগে একরকম তড়িঘড়ি করেই দুই তারকাকে আবার ওপেনিংয়ে ফিরিয়ে আনে পাক ম্যানেজম্যান্ট। তাঁদের প্রত্যাবর্তন অবশ্য ভালোভাবেই হয়েছিল, ইংলিশদের বিপক্ষে সেই ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ব মঞ্চে এসে ব্যর্থতাকেই সঙ্গী বানালেন তাঁরা।
টি-টোয়েন্টিতে এই দুই ব্যাটারের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। নিয়মিত রান করেন তাঁরা, বড় ইনিংসও খেলতে জানেন। কিন্তু সমস্যা লুকিয়ে আছে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে, তাঁরা দু’জনেই অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করতে পছন্দ করেন। ফলে পাওয়ার প্লের ফায়দা তোলা সম্ভব হয় না – এসব কিছু নিয়েই অতীতে বহুবার আলোচনা হয়েছে, তবু পরিবর্তন হয়নি কিছুই।
আরেকটা ব্যাপারও চোখে লাগার মত, পাকিস্তান যেমন সায়িমকে ওপেনার ধরে পরিকল্পনা করেছে কিন্তু বিশ্বকাপে প্রথম পছন্দ ভাবছে না, ভারতও তেমনটা করছে যশস্বী জয়সওয়ালকে নিয়ে। উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে দারুণ পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও রোহিত-কোহলির ওপরেই আস্থা রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। তবে কি কঠিন পরিস্থিতিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কেউই তারুণ্যে ভরসা করার মত সাহস রাখেন না?