বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেয়েছে ২০০৯ এর শিরোপাজয়ী দল পাকিস্তান। ডালাসে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও সুপার ওভারে ম্যাচটি হেরে যায় গ্যারি কার্স্টেনের শিষ্যরা। ফলে গ্রুপ-এ থেকে তাদের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। যেখানে একটি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।
দুইটি ম্যাচ জিতেও পাকিস্তানের পরের রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে সেখানে রয়েছে অনেক হিসেব-নিকেশ। শুধু তাই নয়, যদি তারা পরের রাউন্ডে উঠতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বও খেলতে হতে পারে।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ হতে সুপার ৮ এ ওঠা সকল দল সরাসরি চলে যাবে পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ এ। এরপর আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং এর শীর্ষ দুটি দল এবং স্বাগতিক দুটি দল সরাসরি খেলবে ২০২৬ বিশ্বকাপ। বাকি দলগুলোকে বাছাই পর্ব খেলে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য। যা বেশ কঠিন হয়ে থাকে। তাই পাকিস্তান চলমান আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলে অন্যান্য দলের মত একই পরিণতির শিকার হতে পারে।
বর্তমানে পাকিস্তান র্যাঙ্কিং এর ৬ নম্বর স্থানে রয়েছে। তাদের আগে রয়েছে যথাক্রমে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড। যদি এই পাঁচ দলের মাঝে ২ টি দল সুপার ৮ এ উঠতে ব্যর্থ হয় তবে পাকিস্তানকে অবশ্যই বাছাই পর্ব খেলে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগদান করতে হবে। স্কটল্যান্ড এর সাথে ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় এবং নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারায় এই সম্ভাবনাকে ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই৷
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে পরাজয়ের পর পাকিস্তান ভুল সংশোধনের জন্য খুব সামান্য সময়ই পাবে। কারণ রবিবারই নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। এরপর সুপার ৮ এর লড়ায়ে ১১ জুন কানাডা ও ১৬ জুন আয়ারল্যান্ড এর বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান।