পাকিস্তানের জার্সি গায়ে নিজের সেরাটা কোনভাবেই প্রদান করতে পারছে না আজম খান। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিজের পাওয়ার হিটিং এর নিদর্শন দেখালেও পাকিস্তানের জার্সি গায়ে মলিন সাবেক কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক মঈন খানের ছেলে।
মাঠে খারাপ প্রদর্শনীর জন্য বিভিন্ন রকম বডি শেমিং এরও শিকার হচ্ছেন তিনি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার সময় এক দর্শক তাকে ‘মোটা হাতি’ বলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
তবে পাকিস্তান বেসবল ফেডারেশন সম্প্রতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে বেসবল দলে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেছে। তার শারীরিক দক্ষতা ও শক্তির সঠিক প্রয়োগের জন্য বেসবেল পারফেক্ট খেলা বলে মনে করেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পাকিস্তান বেসবল ফেডারশন টুইট করে, ‘আজম খান আপনি আপনার শক্তির প্রয়োগ করে পাকিস্তান বেসবলের ভবিষ্যত ১বি হতে পারেন। এই পাকিস্তানি ক্রিকেট খেলোয়াড় তার শরীরের জন্য হাস্যরসের পাত্র হচ্ছেন। কিন্তু আমরা তার শক্তিকে বেসবলে ব্যাবহার করতে পারি। এবং তাকে প্রশিক্ষণ করে একজন ভাল পাওয়ার হিটার বানানোর সুযোগ আছে। আমরা আপনাকে বিচার করব না বরং আমরা আপনার দুর্বলতাকে আপনার শক্তিতে রূপান্তর করব।’
পাকিস্তানের এই ব্যাটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের বেশ সমালোচনার মুখোমুখি হন। স্থূল শারীরিক গঠনের জন্য বডি শেমিংয়েরও শিকার হন তিনি।
তবে, বেসবলে এটিই তার শক্তির স্থান বলে মনে করেন পাকিস্তান বেসবল ফেডারেশন। ফেডারেশনের পদক্ষেপটি শুধুমাত্র আজমের প্রতিভার স্বীকৃতিই নয়, শরীরের লজ্জার বিরুদ্ধে একটি বিবৃতিও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বারবার ব্যর্থ হওয়ার ফলে জাতীয় দলে তার স্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করেন, কিংবদন্তি মঈন খানের ছেলে বলেই তিনি এত সুযোগ পাচ্ছেন। তাই বেসবল ফেডারেশন তার পক্ষে টুইট করে এবং বেসবলে তার দক্ষতা ব্যবহার করতে প্ররোচিত করে৷