জশ হ্যাজলউড মানেই লাইন-লেন্থ, সুইং ও সীমের অসাধারণ প্রদর্শন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলা এই বোলার যেন নতুন বলে আগুন ঝরান। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আবার সেই আগুনের গোলা নিক্ষেপ করলেন হ্যাজলউড। এবার তার শিকার নামিবিয়ার উদ্বোধনী ব্যাটররা।
সতীর্থ মিচেল স্টার্ক একাদশে না থাকায় অধিনায়ক মিচেল মার্শ প্রথম ওভারই বল তুলে দেন হ্যাজলউড এর হাতে। প্রথম ওভার থেকেই তিনি তার লেন্থ, লাইন ও সুইংয়ে ব্যাটারদের পরাস্ত করেন। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় ওভারের শেষ বলটি ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপের উপর দিয়ে চলে যায়।
তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসেই নামিবিয়ার শিবিরে আঘাত হানেন তিনি। ওভারের চতুর্থ বলে ব্যাটার নিকোলাস ডেভিন হ্যাজলউডের ব্যাক অফ দ্য লেন্থের একটি বল খেলতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েলের হাতে ধরা পরেন।
বলের অসাধারণ লাইন ও লেন্থের জন্য নামিবিয়ার ব্যাটাররা চড়াও হতে পারেননি হ্যাজেলউড এর উপর। নিজের দক্ষতার উপর পূর্ণ আস্থার সাথে বল করেছেন হ্যাজলউড। তাই তাকে পাওয়ার-প্লে তেই আরও এক ওভার বল করান অধিনায়ক মিচেল মার্শ। যার প্রতিদান রাখেন হ্যাজলউড।
ওপেনিং স্পেলে নিজের তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম বলেই আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার মাইকেল ভ্যান লিংগেনকে সাজঘরে পাঠান হ্যাজলউড। আবারও অফ স্ট্যাম্পের হালকা বাহিরের বলে ম্যাক্সওয়েলের তালুবন্দি হন লিংগেন। যেমনটা হয়েছিল তার সতীর্থ ডেভিন।
হ্যাজলউড এর তৃতীয় ওভার থেকে মাত্র এক রান নিতে সক্ষম হয় নামিবিয়ার ব্যাটাররা। ওপেনিং স্পেলে তিন ওভার বল করে মাত্র ১০ রান দিয়ে নামিবিয়ার উদ্বোধনী দুই ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান তিনি।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে আবারও হ্যাজলউডকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মার্শ। প্রথম দুই বলে দুইটি ডট বল দিলেও একটি বাউন্ডারির সাথে ওভারে ৮ রান দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে নিজের চার ওভার শেষ করেন হ্যাজলউড। বোঝাই যাচ্ছে চলমান মেগা ইভেন্টে উইকেটে ধারায় ফিরতে শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার।