পাঁচ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ৩৫ রান, জয়ের স্বপ্ন তখন হাতের নাগালেই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু হুট করেই ৩৫ রান কমে ৩০ রান হয়ে গেল। প্রথমে মনে হয়েছিল স্কোরার কিংবা ব্রডকাস্টারের ভুল হয়তো, তবে খানিক সময় পরেই স্পষ্ট হয় বিষয়টা। মূলত পেনাল্টি হিসেবে পাঁচ রান পেয়েছিল ভারত। এর ফলে ম্যাচের মোমেন্টামও পেয়ে যায় তাঁরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ইনিংসের সময়সীমা নিয়ে আইসিসি বেশ কড়া অবস্থান নিয়েছে। বর্তমান নিয়মানুযায়ী, কোন দল নতুন ওভার শুরুর করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ষাট সেকেন্ড সময় ক্ষেপণ করতে পারবে।
এর বেশি সময় পার হলে দায়িত্বরত আম্পায়ার তাঁদের সতর্ক করবেন এবং একই ইনিংসে তিনবার এমনটা হলে ব্যাটিং দল পেনাল্টি হিসেবে পাঁচ রান পাবে।
এই নিয়মটিই ভুলে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে নতুন ওভার শুরু করার আগে ভাবনা চিন্তা করতে একটু বেশিই সময় নিয়ে ফেলেছিল তাঁরা। তাই তো আম্পায়ার পল রেইফেল বাধ্য হয়েছেন তাঁদের পাঁচ রান জরিমানা। এরপর আর জয় তুলে নিতে সমস্যা হয়নি টিম ইন্ডিয়ার, মোমেন্টাম কাজে লাগিয়ে লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে গিয়েছে তাঁরা।
সম্ভবত অধিনায়ক অ্যারন জোন্সের অনভিজ্ঞতার কারণেই তিক্ত এই অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিয়মিত অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের পরিবর্তে এদিন তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলকে; সবকিছু ঠিকঠাক করলেও সময় মেনে চলার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে তাঁর।
কারণ যেটিই হোক এমন ভুল আসলে ক্ষমার অযোগ্য। ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে যখন জয় তুলে নেয়ার সম্ভাবনা জেগে উঠেছিল তখনই অকস্মাৎ বজ্রপাত হয়ে এসেছে আম্পায়ারের পেনাল্টি দেয়ার সিদ্ধান্ত – কি জানি, হয়তো এমনটা না ঘটলে ম্যাচের ভাগ্য আরেকরকম হতে পারতো।