এ যেন জনি বেয়ারস্টোর বিধ্বংসী রূপ। যে রুপে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়ে প্রতিপক্ষের শিবিরে। যেমনটা ঘটেছে চলমান বিশ্বকাপের সুপার এইটের পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।ইংল্যান্ডের অন্যতম শক্তির স্থান তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং। তবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোয় তাঁদের ব্যাটরা পর্যাপ্ত সুযোগ পাননি ব্যাটিংয়ের। তবে যতটুকু পেরেছেন রান করে গেছেন বেয়ারস্টোরা।
শুরু থেকেই ক্যারিবিয়ান বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্পিনার রস্টন চেজকে প্রথম বাউন্ডারি হাকান বেয়ারস্টো। উদ্বোধনী ব্যাটার ফিল সল্টকে সাথে নিয়ে উইন্ডিজ বোলারদের উপর ধ্বংসযজ্ঞ চালান তিনি।
সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল ইংল্যান্ড। তবে দলীয় ৬৭ রানে জশ বাটলার ও ৮৪ রানে মঈন আলী ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন জনি বেয়ারস্টো।
১৩তম ওভারের প্রথম দুই বলে জোসেফকে একটি ছক্কা ও একটি চার হাকান তিনি। প্রতি ওভারে বাউন্ডারির সাথে সাথে নিয়মিত রানের চাকা সচল রাখতে থাকেন বেয়ারস্টো। প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর চড়াও হওয়ার কোনোরকম সুযোগ দেননা তিনি।
তাঁর আক্রমনের পরবর্তী শিকার হন চলতি আসরে দূর্দান্ত বল করে যাওয়া আকিল হোসেন। চলতি আসরে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করা এই বোলারের উপরও ঝড় তোলেন বেয়ারস্টো। তাঁর করা ১৪তম ওভারের তিন বলে দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাকান তিনি।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও নামিবিয়ার বিপক্ষে ১৮ বলে ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন বেয়ারস্টো। সুপার এইটে উঠার লড়াইয়ে সেই ম্যাচটি অবশ্যই জিততে হতো তাঁদের।
নামিবিয়ার বিপক্ষে ইনিংস শেষ না করতে পারলেও সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঠিকই ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছেড়েছেন বেয়ারস্টো। ইনিংসের জয় সূচক রানটিও আসে তার ব্যাট থেকেই। তাঁর ২৬ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় ইংল্যান্ড। অল্পের জন্য হাতছাড়া হলো অর্ধশতক, কিন্তু তাতে কি ? দলের জয়ই যে বেয়ারস্টোর কাছে মুখ্য বিষয়।